Aparajita Adhyay: বছর শেষে পথশিশুদের পাশে অপরাজিতা, বললেন ‘সারা বছরের সেরা আনন্দ’
প্রতিবছর ঘটা করে লক্ষ্মীপুজো পালন করেন বাড়িতে। দুর্গা পুজো, দোল উৎসবে গা ভাসিয়ে দেন। একগাল হাসিতে মন ভরিয়ে মন খুলে আনন্দে মেতে ওঠেন অপরাজিতা।
অনুরাগীদের একটা বড় অংশ মনে করেন, অপরাজিতা আঢ্যর মধ্যে এক দেবীর ছায়া রয়েছে। কোনওদিনও নেতিবাচক কিংবা ভ্যাম্পের চরিত্রেও অভিনয় করেননি অপরাজিতা। ইদানিং পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের ছবিতে কাজ করছেন পরপর। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তাঁর ‘একান্নবর্তী’ ছবিটি। দুই মেয়ের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপরাজিতা। তার আগে ‘চিনি’ ছবিতেও মায়ের চরিত্র অভিনয় করেন তিনি।
প্রতিবছর ঘটা করে লক্ষ্মীপুজো পালন করেন বাড়িতে। দুর্গা পুজো, দোল উৎসবে গা ভাসিয়ে দেন। একগাল হাসিতে মন ভরিয়ে মন খুলে আনন্দে মেতে ওঠেন অপরাজিতা। করোনা প্যান্ডেমিকের সময় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি বেড়াতে গিয়েছিলেন উটিতেও। শ্বশুরমশাইয়ের বিয়োগ ঘটে ঠিকই, এছাড়া মোটের উপর অপরাজিতার ভালই কাটিয়েছেন ২০২১ সাল। বছরের শেষটা বেশ অন্যরকম ভাবে কাটালেন অভিনেত্রী।
View this post on Instagram
সারা শহরে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা রাস্তায় দিন যাপন করেন। তাঁদের মাথার উপরে ছাদও নেই। সেই সব মানুষের সঙ্গেই বছরের শেষটা কাটালেন অপরাজিতা। অভিনেত্রী কিছু ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া এবং লিখেছেন, “সারা বছরের সেরা আনন্দ।বছরের শেষ লগ্নে এসে নানা হিসাবের হিসেব নিকেশ করতে বসে মনে পড়ে গেল রবিঠাকুরের কয়েক ছত্র। “নানা পথে নানা দলে দলে যুগ যুগান্তর হতে মানুষের নিত্য প্রয়োজনে জীবনে মরণে, ওরা চিরকাল টানে দাঁড়, ধরে থাকে হাল.. ওরা মাঠে মাঠে বীজ বোনে, পাকা ধান কাটে ওরা কাজ করে নগরে প্রান্তরে।” কিন্তু দিন পরিবর্তন হয়েছে। নগরের বিভিন্ন রাজপথে আজ ওদের বাস। শীতের এই কুয়াশামাখা রাতে যখন দেখি মুখোশ বিহীন উল্লাস, মন ভেঙে যায়। ওরাও এই আনন্দ আহ্লাদে সমান অংশীদার। ঝাঁ চকচকে আলোর তলায় বড়ই মলিন ওরা। তাই এবছরের শুরুটা একটু পাল্টে নিলাম। কোভিডের করাল আক্রমণে আমরা অনেক কিছুই হারালাম। শুধু বেঁচে থাকুক মানবিকতার কিছু ঝলক। ওদের পাশে দাঁড়াবার সামর্থ্য না থাকলেও সৎসাহস দেখিয়ে ফেললাম। কিছু আনন্দ ওদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম। ওদের মুখের এই অনাবিল হাসি আরেকটা বছরের খোরাক হয়ে থাকুক। নতুন বছর নতুন প্রয়াস, নতুন ভাবনা। সবাই ভাল থাকুন।”