কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পারিবারিক জীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে তাঁর। সদ্য বাবাকে হারিয়েছেন রচনা। তাঁর বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৮৪ বছর বয়স হয়েছিল। আচমকাই চলে গেলেন। এই ব্যক্তিগত ক্ষতি মেনে নিতে পারছেন না অভিনেত্রী।
সদ্য ফেসবুকে বাবার একটি ছবি শেয়ার করেছেন রচনা। তিনি লিখেছেন, ‘আমার বাপি… ভাবিনি একদিন একা হয়ে যাব। ভাবিনি তুমি চলে যাবে এখনও অনেকগুলো বছর তোমাকে ছাড়া কাটাতে হবে। তোমার আশীর্বাদ আমাদের সাথে আছে আমি জানি। থাকবো…. থাকতে হবে। তুমি ভালো থেকো বাপি।’
কেরিয়ারের প্রতিটি ধাপে বাবা, মায়ের সমর্থন পেয়েছেন রচনা। তাঁদের উৎসাহ, আশীর্বাদই তাঁর এগিয়ে যাওয়ার পাথেয়। এত বছর পথ দেখিয়েছেন তাঁরাই। রচনার ছেলে প্রণীলের সঙ্গেও দাদুর অত্যন্ত ভাল বন্ধন ছিল। ফলে তাঁর আচমকা প্রয়াণ এখনও মেনে নিতে পারছেন না কেউই। টেলিভিশনে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন রচনা। কিছুদিন আগে নিজস্ব ফ্যাশন ব্র্যান্ডও লঞ্চ করেছেন তিনি। ফলে কাজ নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁকে। এর মধ্যে আপাতত একটু বিরতি নিতে হয়েছে।
নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার মুহূর্ত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং সামলাতে হচ্ছে রচনাকে। কারও প্রশ্ন, অভিনয়, সঞ্চালনার পর হঠাৎ করে নতুন কাজ কেন শুরু করলেন তিনি? কারও মতে, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসা করে নেমেছেন। কেউ বা মনে করছেন, এ ভাবে সেলেব্রিটিরা বুটিক খুলে বসলে, যাঁরা ছোট ব্যবসায়ী তাঁদের ক্ষতি হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত এ সব ট্রোলিংয়ের প্রকাশ্য কোনও জবাব দেননি রচনা। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যাঁরা তাঁকে কাছ থেকে চেনেন, তাঁরা জানেন, রচনা আদ্যন্ত একজন পজিটিভ মানুষ। যে কোনও পরিস্থিতিতে সদর্থক চিন্তা ভাবনা করাই তাঁর স্বভাব। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও লড়াই করতে পারেন। শুধু নিজে পজিটিভ থাকা নয়। সকলকে পজিটিভ থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।
দীর্ঘ কয়েক বছর হল, ছবির জগৎ থেকে অনেকটা দূরে রচনা। অনেক বেছে কাজ করেন এখন। আপাতত টেলিভিশনের পর্দায় তাঁকে প্রতিদিন দেখেন দর্শক। ‘দিদি নম্বর ওয়ান’-এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগীরা এসে তাঁদের লড়াইয়ের গল্প শোনান। রচনাও তাঁদের গল্পের শরিক। তাঁদের সাহস দেন প্রতিনিয়ত।