স্ক্রিনে ভাইয়ের হাসিমুখ। সামনে সাজানো রকমারি ক্যাডবেরি। আজ ভাইফোঁটা। মুখ মিষ্টি তো করতেই হবে। রয়েছে প্রদীপ, চন্দন, ধান, দুব্বো। সব আয়োজনই যথাযথ। কিন্তু দিদি এবং ভাই একে অপরকে অনস্ক্রিন দেখেই দিনটা কাটাবে। অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষের অনলাইন ভাইফোঁটা এ ভাবেই সম্পন্ন হল।
ঋদ্ধিমার কাছে অনলাইন ভাইফোঁটা নতুন নয়। তাঁর ভাই অভিষেক ঘোষ গত কয়েক বছর ধরেই দেশের বাইরে থাকেন। ভাইফোঁটায় দেশে আসা সম্ভব হয় না। তবে এই দিনের আনন্দ এতটুকুও নষ্ট করতে চান না অভিনেত্রী। প্রতি বছর ভাইকে সাজিয়ে দেন এ ভাবেই। স্ক্রিনের এপার এবং ওপার থেকেই চলে উষ্ণতা বিনিময়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ হেন অনলাইন ভাইফোঁটার ছবি শেয়ার করেছেন ঋদ্ধিমা। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কোথায় থাকছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমি তোর সঙ্গে সব সময় রয়েছি। ভালবাসি ওম। শুভ ভাইফোঁটা।’
কয়েক মাস আগে মাকে হারিয়েছেন ঋদ্ধিমা। প্রতিটি দিন, প্রতি মুহূর্তে মাকে মিস করেন, মাকে মনে পড়ে তাঁর। তবুও কোনও কোনও দিন হয়তো তার মধ্যেই কিছুটা আলাদা। মা ছাড়া পৃথিবীটা মেনে নেওয়া তো নেহাত সহজ নয়। ঋদ্ধিমাও ব্যতিক্রম নন। মা যে নেই, এটা এখনও মেনে নিতে পারেন না তিনি। সোশ্যাল ওয়ালে মায়ের ছবি শেয়ার করেছেন আগেও। শেয়ার করেছেন নিজের মনের কথাও। মায়ের সব স্বপ্ন পূরণ করার প্রতিজ্ঞা করেছেন অভিনেত্রী। একই সঙ্গে তাঁর উপলব্ধি, মায়ের মতো তাঁকে আর কেউ কখনও ভালবাসবে না! মাকে ছাড়া নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে ঋদ্ধিমার। আসলে কঠিন বাস্তব মেনে নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় কারও থাকে না। মা নেই, এটা মেনে নিতে কষ্ট হলেও অভিনেত্রীকে মেনে নিতে হবে। তাঁর উপরে তো এখন অনেক দায়িত্ব। মাকে নিজের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল গৌরব-ঋদ্ধিমার পরিবার। গৌরবের দিদা মারা গিয়েছেন। মায়ের পর করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ঋদ্ধিমার বাবা। তারপরই গৌরব-ঋদ্ধিমার রিপোর্টও পজিটিভ আসে। সব মিলিয়ে পারিবারিক বিপর্যয়ে কেটেছে গত কয়েক মাস। সব কিছু সামলে ধীরে ধীরে ফের স্বাভাবিক রুটিনে, দৈনন্দিন জীবনে ফিরেছেন দম্পতি। ভাল থাকার চেষ্টা করছেন প্রতিনিয়ত।