Aindrila Sharma Death: ক্যানসারে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলার মা-ও, মেয়ের লড়াকু জীবনের প্রেরণা ছিলেন তিনিই

Aindrila Sharma Death: এক সপ্তাহ পার হয়ে গেল ঐন্দ্রিলা নেই। দু'বার ক্যানসারকে জয় করে জীবনের মূল স্রোতে ফিরলেও তৃতীয়বার তিনি আর পারেননি। ব্রেন স্ট্রোক, পরপর হৃদরোগ ও তৃতীয়বার ক্যানসারের হানা কেড়ে নিয়েছিল ২৪ বছরের প্রাণকে।

Aindrila Sharma Death: ক্যানসারে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলার মা-ও, মেয়ের লড়াকু জীবনের প্রেরণা ছিলেন তিনিই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2022 | 6:55 PM

 

এক সপ্তাহ পার হয়ে গেল ঐন্দ্রিলা নেই। দু’বার ক্যানসারকে জয় করে জীবনের মূল স্রোতে ফিরলেও তৃতীয়বার তিনি আর পারেননি। ব্রেন স্ট্রোক, পরপর হৃদরোগ ও তৃতীয়বার ক্যানসারের হানা কেড়ে নিয়েছিল ২৪ বছরের প্রাণকে। ঐন্দ্রিলার এই শেষ লড়াই জেতা না হলেও মা শিখা দেবীর লড়াই আজও চলছে। ক্যানসারের আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনিও। জরায়ুতে ক্যানসার হয়েছিল তাঁর। ধরা যে পড়েছিল প্রথমেই এমনটাও কিন্তু নয়। শিখাদেবীর কথায়, একেবারেই শেষ পর্যায়েই ধরা পড়েছিল তাঁর ক্যানসার। এমনকি তাঁর আয়ু কতটা তাও নাকি জানিয়ে দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তিনি মনের জোর হারাননি। লড়েছেন। ক্যানসারও বিদায় নিয়েছে শরীর থেকে। আজ তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।

মেয়ে ঐন্দ্রিলা যখন ক্লাস ১১-এ পড়েন তখন প্রথমবার শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধে তাঁর। সে সময় ঐন্দ্রিলার অনুপ্রেরণা ছিলেন তাঁর মা। যেভাবে মা লড়েছেন তিনিও পারবেন ঠিক সেভাবেই– এই বিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। জয়ীও হয়েছিলেন। তবে এই কঠিন যাত্রাপথে অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীনও হতে হয়েছে তাঁকে। চুল পড়ে গিয়েছিল কেমোতে। লোকে এমন ভাবে তাকিয়ে থাকত, ঐন্দ্রিলার মনে হতো তিনি বুঝি ভিন গ্রহের প্রাণী। যে সব বন্ধুদের ভেবেছিলেন পাশে পাবেন তাঁরাও কেমন যেন সরে গিয়েছিলেন এ সময়। তবে তাঁর মা-বাবা আর দিদি এ সময় তাঁকে আগলে রেখেছিলেন। তাঁর লড়াইয়ের শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওঁরা। জিতেছিলেন দুটো লড়াই। কিন্তু নিয়তি অচিরেই লিখছিল অন্য কাহিনী।

গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। সব্যসাচীই তাঁর গাড়িতে করে অভিনেত্রীকে ভর্তি করেন শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। এরপর ২০ দিন চলে লড়াই। কিন্তু শনিবার রাতে প্রায় দশবার হৃদরোগে আক্রান হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। এরপরেই রবিবার অর্থাৎ ২০ নভেম্বর দুপুরে অঘটন। প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা। চলে যান না ফেরার দেশে।