Aindrila Sharma Death: আরও একবার পর্দায় ফিরছে ঐন্দ্রিলার চেনা হাসি, কোথায় জানেন?
Aindrila Sharma: গত ২০ অক্টোবর প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দু’বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জয়ী হয়ে ফিরলেও তৃতীয়বার আর পারেননি। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
২০ নভেম্বর, চলে যান ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। তাঁর স্মৃতি আজও অমলীন। মেয়ের স্মৃতি হাতড়ে বাঁচতে চাইছেন ঐন্দ্রিলার বাবা-মাও। ঐন্দ্রিলা চলে গেছেন ঠিকই তবে আরও একবার ফিরছেন তিনি। শিল্পীর মৃত্যু হলেও শিল্পের তো হয় না। তাই শিল্পকে হাতিয়ার করেই প্রয়াত শিল্পী দর্শকের দররবারে ফেরত আসছেন। ঐন্দ্রিলার শেষ ধারাবাহিক ‘জিয়ন কাঠি’। ওই ধারাবাবিকই আবারও একবার সম্প্রচারিত হবে টিভির পর্দায়। দেখা যাবে, সংশ্লিষ্ট চ্যানেলেই। ৫ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় দেখা যাবে ওই ধারবাহিক। খবর শুনে আনন্দ অনুরাগীদের, একই সঙ্গে চোখ ভিজছে কান্নাতেও।
গত ২০ অক্টোবর প্রয়াত হন ঐন্দ্রিলা শর্মা। দু’বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে জয়ী হয়ে ফিরলেও তৃতীয়বার আর পারেননি। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে হয়েছিল বারংবার হৃদরোগও। চলে যান ঐন্দ্রিলা। মৃত্যুর কিছু দিন আগে পর্যন্তও করেছেন নতুন সিরিজের শুটিং। ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল অভিনেত্রী হওয়ার। বহরমপুরেই ঐন্দ্রিলার বড় হয়ে ওঠা। সেখানেই কেটেছে তাঁর স্কুলজীবন। স্কুলে দিদি ঐশ্বর্য ছিলেন চিরকালের শান্ত, লেখাপড়ায় মনোযোগী। ঐন্দ্রিলা ছিলেন স্কুলের জান। দুষ্টুমিও করতেন তিনি। টিভিনাইন বাংলার কাছে এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রীর মা শিখা দেবী। তাঁর কথায়, “আমার বড় মেয়েটা পড়ুয়া। ছোটটা ছিল দস্যি। প্রায়দিনই স্কুল থেকে গার্ডিয়ান কল হত ঐন্দ্রিলার জন্য। মারামারিও করেছে। কিন্তু ওকে ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ হতে না স্কুলে। এক্সট্রা ক্যারিকুলার অ্যাক্টিভিটিতে আমার ছোটটা ছিল চ্যাম্পিয়ন… নাচে, গানে, আবৃত্তিতে প্রথম… আজ সবই অতীত…”।
এখানেই কি শেষ? বড় মনের মেয়ে ছিলেন ঐন্দ্রিলা। মুখ জুড়ে লেগে থাকত এক গাল হাসি। মানুষের যে কোনও বিপদে ঐন্দ্রিলাকে সবসময় পাশে পেতেন সকলে। কারও বিপদ শুনলে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়তেন। শিখাদেবীর কথায়, “এমন একটা মেয়েকে ধরে রাখতে পারলাম না নিজের কাছে… একবার শীতকালে জানতে পারল কার-কার গায়ের শাল নেই। আমার প্রিয় শালটা নিয়ে গিয়ে একজনের গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিল। আমি একটু রাগ করে বলেছিলাম, ‘কী রে, আর শাল পেলি না, ওটাই তোকে দিয়ে দিতে হল?’ ওর বাবা বলেছিল, ‘কী হয়েছে তাতে… আর একটা কিনে নাও’, আসলে আমরাও ওকে বাধা দিতাম না কোনও কিছুতে।” স্মৃতি নিয়েই আজ দিন কাটছে ঐন্দ্রিলার প্রিয়জনদের। না থেকেও রয়ে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা– তাঁর কাজ দিয়েই।