Anirban Chakrabarti: শীতের সকালে এ কী কাণ্ড! গিয়েছিলেন ভোট দিতে, অনির্বাণ ফিরলেন ভরাপেটে
প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ২০২০ সালের মে মাসে কলকাতা পুরসভার নির্বাচিত পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।
কলকাতায় পুরভোট শুরু হয়েছে। ১৪৪টি ওয়ার্ডে চলছে ভোটগ্রহণ। সেলেবরাও সকাল সকাল লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। তবে এরই মধ্যে পর্দার একেনবাবু অর্থাৎ অনির্বাণ চক্রবর্তীর এক পোস্ট নিয়ে হইচই। সকাল সকাল তিনিও গিয়েছিলেন ভোট দিতেই। ভো তো দিলেনই সঙ্গে ফিরলেন ভরাপেটেও। তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে? ব্যাপারটা একটু খুলেই বলা যাক।
অনির্বাণের পোস্ট থেকেই জানা যাচ্ছে ভোট দিতে গিয়ে নিজের রসনাকে সামলাতে পারলেন না তিনি। গরম গরম কচুরি আলুরদম আর জিলিপি দেখেই জটায়ুর পেটের ভিতর থেকে এল আওয়াজ। ডায়েট-টায়েট চুলোয় যাক একেনবাবু কিনে ফেললেন কচুরি-আর কষা কষা আলুরদম। তারপর আর কী? বাড়ি এসে জমিয়ে উদরতৃপ্তি। অনির্বাণ লিখেছেন, “শীতের সকালে ভোট দেওয়ার অন্য একটি দিক হল কড়াইশুঁটির কচুরি আর আলুর দমের লোভ সামলানো যায় না।” যদিও অনির্বাণ ওই ছবি পোস্ট করতেই এক নেটিজেন তাঁকে কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞাসা করেন, কোনও রাজনৈতিক দল থেকে ওই খাবার তাঁকে দেওয়া হয়েছে কিনা, উত্তরে অনির্বাণ জানান, “কেউ দেয়নি। আমি নিজেই কিনে এনেছি।
প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। ২০২০ সালের মে মাসে কলকাতা পুরসভার নির্বাচিত পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপর প্রায় দেড় বছর পার করে ভোট হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণেই পিছিয়ে যায় ভোটপ্রক্রিয়া। অবশেষে তা রবিবার হচ্ছে।
১৪৪টি ওয়ার্ড নিয়ে তৈরি কলকাতা পুর এলাকায় এ বার মোট ভোটার ৪০,৪৮,৩৫২ জন। সবচেয়ে বেশি ভোটার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ৯৫,০৩৮ জন। সবচেয়ে কম ভোটার রয়েছেন ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এখানে ভোটার সংখ্যা ১০,০৩৩। কলকাতায় ওয়ার্ড পিছু গড় ভোটার ২৮,১১৪ জন। ভোট গ্রহণের জন্য মোট ৪৯৫৯ টি বুথের ব্যবস্থা হয়েছে। এর মধ্যে ১১৩৯টি বুথকে ‘স্পর্শকাতর’ বলে চিহ্নিত করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে অনির্বাণের এই মজাদার পোস্ট যেন কার্যতই ‘কমিক রিলিফ’ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নেটিজেনদের দরবারে।