Ankush Hazra Exclusive: এখন চিত্রনাট্য লেখার উপর দশ হাজার টাকাও খরচ করতে চান না কেউ: অঙ্কুশ

Bengali Movie Script: নায়ক অঙ্কুশ নিজেও অন্য ধারার ছবি বেশি করছেন। এই ছবিগুলিতে অ্যাকশন কিয়দংশে থাকলেও নাচ প্রায় থাকেই না। সেই জায়গা থেকেই ‘গোবিন্দ দাঁত মাজে না’ আইটেম নাম্বারে রাজি হয়েছিলেন অঙ্কুশ।

Ankush Hazra Exclusive: এখন চিত্রনাট্য লেখার উপর দশ হাজার টাকাও খরচ করতে চান না কেউ: অঙ্কুশ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2023 | 4:28 PM

পুজোর ছবি, পুজোর গান বাঙালিকে আলাদা উত্তেজনা দেয়। সেই কথা মাথায় রেখেই পুজোর সময় যে সিনেমা মুক্তি পায়, তাতে ‘ঝক্কাস’ ডান্স নাম্বার রাখাটাও একপ্রকার যেন রীতিতে পরিণত হয়েছে। এই বছর ‘রক্তবীজ’ ছবিতে ডান্স নাম্বারে পা মিলিয়েছেন টলিউডের ডান্সিং স্টার অঙ্কুশ হাজরা। বাংলা সিনেমার পর্দা থেকে টেলিভিশনের ডান্স রিয়ালিটি শ্যোয়ের সঞ্চালনা, সবেতেই অঙ্কুশের জুটি মেলা ভার। বাংলা সিনেমায় ডান্সিং স্টার হাতে গোনা, এর মধ্যে অঙ্কুশ অন্যতম। ইদানীং ‘মসালা’ বাংলা সিনেমার সংখ্যা কমতে-কমতে তলানিতে ঠেকেছে। নায়ক অঙ্কুশ নিজেও অন্য ধারার ছবি বেশি করছেন। এই ছবিগুলিতে অ্যাকশন কিয়দংশে থাকলেও নাচ প্রায় থাকেই না। সেই জায়গা থেকেই ‘গোবিন্দ দাঁত মাজে না’ আইটেম নাম্বারে রাজি হয়েছিলেন অঙ্কুশ।

নায়কের কথায়, “আগে ছবিতে ছয় থেকে আটটা গান থাকত। দারুণ উপভোগ করতাম। অনেকদিন পর নন্দিতা-শিবপ্রসাদ এই গানের কথা বলায় রাজি হয়েছি।” নায়কের অকপট স্বীকারোক্তি, “আসলে নতুন কিছু করতে চাইছিলাম। এমনিতে ছবিতে দর্শক আমার নাচ দেখেছে। তবে এই সিনেমায় আমার ডান্স সিকোয়েন্সটা গল্পের একটি প্রয়োজনীয় অংশ। শুধু ডান্স করার জন্যই এই ছবিতে আইটেম ডান্স করেছি, এমনটা ঠিক নয়। নন্দিতা-শিবপ্রসাদ জুটির ছবি যখন, তখন তাতে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু থাকে। ‘রক্তবীজ’ ছবিতেও গানটি চিত্রনাট্যের একটি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। এই গানের মাধ্যমেই গল্পের মোড় ঘুরছে।”

এই প্রসঙ্গ ধরেই আগামী দিনে অঙ্কুশের প্ল্যানিং জানতে চাইলে অভিনেতা বললেন, “অনেকগুলি ছবির লাইন-আপ রয়েছে। সেগুলো আগে শেষ করব। তবে তার আগেই একটু বেড়িয়ে আসতে হবে।” কী ধরণের ছবি করবেন তিনি, এ প্রশ্নের উত্তরে অঙ্কুশের জবাব, “মাস ফিল্ম-ই করতে চাই, কারণ এই মাস ফিল্ম আমাকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।” তিনি জানালেন, এখন থিয়েটার সেলিব্রেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হাতে-গোনা ছবি বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে। এই সূত্র ধরে অঙ্কুশ বললেন, “শাহরুখের ‘জওয়ান’ সেলিব্রেটেড ফিল্ম। দর্শক হলে এসে ছবি উদযাপন করেছে। বাংলা ছবিকে সিনেমা হলে সেই উদযাপন ফিরিয়ে আনতে হবে।” নায়ক এখন নিজেও প্রযোজকের ভূমিকায়। কী ধরনের ছবি করার কথা ভাবছেন? অঙ্কুশের মতে, ছবির গল্পের উপর জোর দিতে হবে। অঙ্কুশের কথায়, “আগে দক্ষিণের ছবির সিডি কেনা হত লাখ-লাখ টাকা দিয়ে, কারণ কপি করতে হত। অথচ এখন চিত্রনাট্য লেখার উপর দশ হাজার টাকাও খরচ করতে চান না কেউ। ভাল গল্পকার খুঁজতে হবে।” গল্প ভাল হলে হলমুখী হবে দর্শক, প্রত্যয়ী অঙ্কুশ।

তাঁর কথায়, “এখন প্রযোজক-পরিচালকেরা ধরেই নিচ্ছেন যে, হল থেকে টাকা উঠবে না। টিভির স্বত্ব বেচে টাকা তুলবে। তাহলে আর ছবি কেন বানানো?” আর সিনেমায় সেভাবে দাগ না-কাটতে পারলে কিছু বছর দেখে সিরিয়াল করেন অনেকে, জানিয়েছেন অঙ্কুশ। “তবে সিনেমা করতে হলে সিনেমা হলে গিয়ে দর্শক ছবি দেখবে, এমন বিষয় ভাবতে হবে,” স্পষ্ট কথা অঙ্কুশের। অভিনেতা তাই ভাল চিত্রনাট্যকার খুঁজছেন। লেখক-চিত্রনাট্যকারের উপরই মূলত বিনিয়োগ করতে চাইছেন এখন অঙ্কুশ। নতুন ভাবনার খোঁজে রয়েছেন ‘গোবিন্দ দাঁত মাজে না’ আইটেম নাম্বারের ডান্সার। সেই ভাবনা থেকেই প্রযোজনায় আসা তাঁর। নানা ধরনের চরিত্রে নিজেকে তিনি দেখতে চান। যে সব প্রযোজক মরে-যাওয়া সিনেমা হলে ভাল চলবে, এমন ভাবনা থেকে ছবি করতে চান, সিরিয়াসলি তাঁদের আদর্শ হিসেবে দেখেন অঙ্কুশ। বড় পর্দার কথা ভেবেই বাংলা ছবি তৈরি করতে চান নায়ক।