‘মনে হচ্ছে নতুন জীবনে ফিরলাম’, কেন বললেন অপরাজিতা?

TV9 Bangla Digital | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Jul 08, 2021 | 1:21 PM

Aparajita Adhya: করোনা পরিস্থিতিতে পারিবারিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেলেন অপরাজিতা। সে সব সামলে কাজে ফিরতে পারা নিঃসন্দেহে ভাল লাগার বিষয়।

‘মনে হচ্ছে নতুন জীবনে ফিরলাম’, কেন বললেন অপরাজিতা?
অপরাজিতা আঢ্য। ছবি: ফেসবুত থেকে গৃহীত।

Follow Us

৭০ দিন। নেহাত কম সময় নয়। করোনা আতঙ্ক এবং লকডাউনের কারণে এতদিন বাড়িতে থাকার পর, অবশেষে শুটিংয়ে ফিরলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। এর মধ্যে মাত্র দুদিন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু তার সঙ্গে শুটিংয়ের কোনও সম্পর্ক ছিল না। বৃহস্পতিবার মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত একটি ছবির শুটিং করছেন অভিনেত্রী। মেকআপ করতে করতে একটি ভিডিয়ো বার্তায় এতদিন পর কাজে ফেরার কথা দর্শকের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন তিনি।

অপরাজিতার কথায়, “এর আগের লকডাউনে ১১০ দিন বাড়িতে বসেছিলাম। সে বার প্রথম যখন বেরিয়েছিলাম, তখন হাত পা কাঁপছিল। এ বার সেটা হয়নি। তবে মনে হচ্ছে নতুন জীবনে ফিরলাম। আজ থেকে ৩০ দিন আগে মনে হয়েছিল, আদৌ শুটিং করতে পারব কি না।”

পরিচালক এবং প্রযোজকদের কাছে কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছিলেন অপরাজিতা। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি না হলে শুটিং করতে চাননি তিনি। “২৭ এপ্রিল যে সব পরিচালক, প্রযোজকের সঙ্গে আমার কাজের কথা হয়েছিল, তাঁদের হোয়াটস্অ্যাপ করেছিলাম। প্যানডেমিক সিচুয়েশন না কাটলে এবং আমার ভ্যাকসিন না হলে ভরসা পাচ্ছি না। আমি শুটিং করব না। আজ আমি সকলকে সাধুবাদ জানাই, প্রত্যেক পরিচালক, প্রযোজক মেনে নিয়েছিলেন আমার কথা। আমাকে সমর্থন করেছিলেন,” বললেন অপরাজিতা।

করোনা পরিস্থিতিতে পারিবারিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেলেন অপরাজিতা। সে সব সামলে কাজে ফিরতে পারা নিঃসন্দেহে ভাল লাগার বিষয়। নিজের মেকআপ নিজেই করতে পছন্দ করেন তিনি। তাই ছবির সেটে পৌঁছে মেকআপ করতে করতে বললেন, “এই সময়টা অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে গেলাম। অনেক প্রিয়জনকে হারালাম। আমার শ্বশুরমশাই মারা গেলেন। অনেক কিছুর সাক্ষী থাকতাম আমি। জীবন কত ভয়ঙ্কর হতে পারে, আমাদের কী কীর করা দরকার বুঝলাম। আমাকে আশীর্বাদ করুন, যাতে ছবি ভাল হয়। পর পর অনেকগুলো ছবির শুটিং আছে। আপনারা এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সঙ্গে ছিলেন, সাহস জুগিয়েছিলেন, সে জন্য ধন্যবাদ।”

আরও পড়ুন, ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর এক মেয়ে আসছে ‘উমা’র হাত ধরে

Next Article