লকডাউনে দীর্ঘদিন বাড়ি বসে থাকার পর অবশেষে শুটিংয়ে ফিরেছেন অপরাজিতা আঢ্য। সব রকম সতর্কতা মেনে মৈনাক ভৌমিকের ছবির শুটিং দিয়েই লকডাউন পরবর্তী শুটিং শুরু করেছেন। বাড়িতে রয়েছেন অসুস্থ মা। কাজ ফেলে বাড়িতে থাকতে পারবেন না অপরাজিতা। তাই মাকে দেখাশোনা করার জন্য পেশাদারের সাহায্য নিয়েছেন। সেই পেশাদারের কর্ম তৎপরতায় খুশি অভিনেত্রী। এতটাই আপ্লুত যে সোশ্যাল ওয়ালে তাঁর সঙ্গে ছবি শেয়ার করে নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
সোশ্যাল ওয়ালে ছবি শেয়ার করে অপরাজিতা লিখেছেন, ‘আমার মা আর আমার মাঝখানে যে বসে আছে সে হল সরস্বতী। ওর মধ্যে লক্ষ্মীর অনেক গুণ। আজ মা যতদিন অসুস্থ হয়েছেন সেই ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমার মায়ের পরিষেবা দিচ্ছে, মাকে সুস্থ করে তুলছে মাকে নতুন করে হাঁটতে শিখিয়েছে তার সঙ্গে মায়ের রাগ মায়ের বিরক্তি মায়ের এক কথা বার বার বলা সব কিছু মেনে নিয়ে রাতের পর রাত জেগে একই ভাবে মাকে সরিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। আজ ও আছে বলেই এই কোভিড পরিস্থিতিতে আমি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। মাকে ওর ভরসায় রেখে ও আছে বলেই শুটিং এ যেতে পারছি।’
অপরাজিতা অকপটে তাঁর কৃতজ্ঞতার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর অনেক অনুরাগী। কিন্তু তিনি এই বিশেষ মানুষটির অনুরাগী, তা জানাতেও দ্বিধা বোধ করেননি। অপরাজিতার কথায়, ‘আমার অনেক ফ্যান, কিন্তু আমি স্বরস্বতীর ফ্যান। আমার চোখে ওরাই হিরো। আজ সরস্বতীরা আছে বলেই শুধু দেশে নয় বিদেশেও মানুষ নিশ্চিন্ত তার পরিবার বা বাবা মাকে দেশে রেখে। এই মানুষ গুলোর মূল্যায়ন টাকা পয়সায় হয় না। কুর্ণিশ এদের প্রাপ্য।’
করোনা পরিস্থিতিতে পারিবারিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেলেন অপরাজিতা। সে সব সামলে কাজে ফিরতে পারা নিঃসন্দেহে ভাল লাগার বিষয়। অনেক প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। অভিনেত্রীর শ্বশুরমশাই মারা গিয়েছেন কয়েক দিন আগে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনুরাগীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন, সাহস জুগিয়েছিলেন। ভবিষ্যতেও সেই আশীর্বাদের দাবি জানিয়েছেন অপরাজিতা।
আরও পড়ুন, ‘দিলীপ কুমারের চলে যাওয়ার শূন্যতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি’, কেঁদে ফেললেন ধর্মেন্দ্র