আবারও শুরু হয়েছে অরিন্দম শীলের মহানন্দার শুটিং। সেই শুটিং থেকেই এ বার ছবি শেয়ার করলেন পরিচালক। শেয়ার করলেন শুটের খুঁটিনাটি। রবিবার সকালেই একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে পরিচালক লিখেছেন, “আপনাদের জন্য এক্সক্লুসিভ”। ছবিতে দেখা গিয়েছে টলিপাড়ার চেনা মুখদের। দেখা যাচ্ছে গার্গী রায় চৌধুরী, দেবশঙ্কর হালদারসহ একরাশ নামজাদা অভিনেতাদের।
এরই মধ্যে আবার আর এক চমক। ছবিতে না থেকেও মহানন্দার ফ্লোরে হাজির প্রিয়াঙ্কা সরকার। কেন? সে কারণও জানিয়েছেন অরিন্দম নিজেই। পাশের ফ্লোরেই নিজের অন্য এক ছবির শুট করছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীদের দেখেই হাজির তিনি। ছবির ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল গত বছরে। চলতি বছরে এপ্রিল মাসে উত্তর কলকাতার একটি বাড়িতে গার্গী রায়চৌধুরি-দেবশঙ্কর হালদারদের নিয়ে কিছুদিন চলেছিল শুটিংও। তবে কোভিডের কোপে আসে শুটিংয়ের বিঘ্নতা। ঠিক ছিল পরিস্থিতি একটু ঠিক হলে মে মাসের মাঝামাঝি আবার ফ্লোরে ফিরবে ‘মহানন্দা’। তবে তা হয়নি ফিরতে ফিরতে সময় নিল আরও এক মাস। স্বনামধন্য সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জীবনকথা এবং তাঁরই লেখা গল্পকথা মিশেলে ছবিটি।
মহাশ্বেতা দেবীর চরিত্রে দেখা যাবে গার্গী রায় চৌধুরী এবং বিজন ভট্টাচার্য দেবশঙ্কর হালদার। ১৯৬২ সালে বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে মহাশ্বেতার। সংসার ভেঙে গেলেও ছেলে নবারুণের জন্য খুব ভেঙে পড়েছিলেন। সে সময় তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করতেও গিয়েছিলেন, চিকিৎসকদের চেষ্টায় বেঁচে যান। ‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসে তিনি ছেলে থেকে বিচ্ছিন্ন হবার যন্ত্রণার প্রকাশও করেছিলেন।
আরও পড়ুন-Bengali Serial: নতুন ধারাবাহিক শুটিংয়ে ‘না’ ফেডারেশনের, স্থগিত মন ফাগুনের শুট
সে কথা টেনে টিভিনাইন বাংলাকে অরিন্দম বলেছিলেন, “মহাশ্বেতা লিখেছিলেন, আমি আমার ঘর, আমার সংসার, আমার বাচ্চা সবাইকে ছেড়ে চলে আসি। বিবাহ বিচ্ছেদ সহজ কথা ছিল না সে সময়ে। তার থেকেও বড় নিজের ছেলেকে ফেলে চলে আসেন মহাশ্বেতা। ফেলে আসার পর ডিপ্রেশনে চলে যান লেখিকা। এই অসম্ভব ভালবাসা এবং ডিপ্রেশন। এবং আত্মহত্যার চেষ্টা। তাই কিশোর নবারুণ ছবিতেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।” কোভিড প্রোটোকল মেনেই আপাতত জোরকদমে চলছে ছবিটির শুট।