Ranjit Mallick-Beltman: অনুষ্ঠানের মাঝে রঞ্জিত মল্লিককে দেখে বেল্ট খুললেন দর্শকদের কেউ-কেউ, তারপর…?
Ranjit Mallick on His Belt: সিনেমার পর্দায় সমাজের কুখ্যাত, সন্ত্রাস ছাড়ানো দুষ্টু লোকগুলোকে বেল্ট দিয়ে মেরে-মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলেছিলেন রঞ্জিত মল্লিক। 'সুপারম্যান', 'স্পাইডারম্যান'-এর মতো তিনি আমাদের 'বেল্টম্যান'। জানেন কি, তিনি কোন ব্র্যান্ডের বেল্ট পরতে ভালবাসেন? সেই বেল্টের দাম কত?
বেয়াদপি দেখলেই আগে মানুষটা প্যান্টে কোমরের হুক থেকে বেল্ট খুলে নিতেন। তারপর ‘শপাং শপাং’ করে পিটিয়ে দিতেন। তাঁর বেল্টের মার ত্রাশে পরিণত হয়েছে। ব্যক্তির নাম রঞ্জিত মল্লিক। উত্তমকুমার-পরবর্তী যুগে কিছু রোম্যান্টিক ছবিতে হিরো হিসেবে কাজ করার পরই বাড়ির বড় ছেলে কিংবা ভাল মানুষ দাদার চরিত্রে অভিনয় করতে শুরু করেন এই অভিনেতা এবং সমাজ সংস্কারকের ভূমিকায় তাঁকে সাদর গ্রহণ করে নেন দর্শক। সমাজের কুখ্যাত, সন্ত্রাস ছাড়ানো দুষ্টু লোকগুলোকে বেল্ট দিয়ে মেরে-মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তাই তিনি এবং তাঁর বেল্ট হয়ে যায় প্রতিশব্দ। তাঁর নতুন নাম হয় টলিপাড়ায়। দর্শকরা ভালবেসে রঞ্জিত মল্লিককে ডাকতে শুরু করেন ‘বেল্টম্যান’ নামে। আর সেই সঙ্গে ‘ভাইরাল’ হয়ে যায় তাঁর ডায়লগ: ‘চাবকে পিঠের চামড়া তুলে নেব’।
এই নিয়ে অনেক গল্প আছে। অনেক জায়গায় অনেকভাবে বেল্টের প্রসঙ্গ এসেছে অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের জীবনে। এবার অনেকের মনে হয়তো প্রশ্নও এসেছে রঞ্জিত মল্লিক কোন কোম্পানির বেল্ট পরেন, কত দামের বেল্ট পরেন, আদতেও তিনি বেল্ট পরতে ভালবাসেন কি না, ইত্যাদি। এবার দর্শকদের সেই কৌতূহল মেটালেন রঞ্জিত মল্লিক নিজেই। তিনি জানালেন, তাঁর ‘বেল্ট কাহিনি’।
রঞ্জিত মল্লিককে TV9 বাংলা জিজ্ঞেস করে, কী কোম্পানির বেল্ট পরেন তিনি? ফোনের ওপারে হাসতে-হাসতে কিছুটা সময় খরচ করতে হয় রঞ্জিত মল্লিককে। তারপরই বলেন, “মজার একটা প্রশ্ন করেছেন আপনি। আমি ‘বেল্ট ম্যান’ হতে পারি, কিন্তু সত্যি বলতে আমার নিজের বেল্ট নিয়ে তেমন অবসেশন নেই। একটা হলেই হল। আমি ভাল, শক্তপোক্ত বেল্ট ভালবাসি পরতে। সেরকম যদি পাই তা হলে পরি। এবং সব রঙেরই বেল্ট আমার ভাল লাগে। কিন্তু উদ্ভট রঙের নয়। যেমন ক্যাটকেটে কোনও রং। অনেককে আমি ওই রকম বেল্ট পরতে দেখেছি। ভাল লাগেনি। আর দাম যদি জিজ্ঞেস করেন, বলব, একেবারেই কোনও ছুঁৎমার্গ নেই। ভাল বেল্ট হলেই হল।”
ছেলেদের উপহার দেওয়ার তালিকায় বেল্ট বিষয়টা খুবই কমন। অনেকেই ছেলেদের গিফ্টে বেল্ট দিতে পছন্দ করেন। সে রকম অজস্র বেল্ট পেয়েছেন রঞ্জিত। কিন্তু একটি বিশেষ ঘটনার কথা TV9 বাংলাকে শেয়ার করেছেন তিনি। দুবাইয়ের এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন রঞ্জিত। মঞ্চে তাঁর সঙ্গে রসিকতা করেছিলেন সঞ্চালক মীর আফসর আলি। দুবাইয়ের লোকেদের প্যান্ট থেকে বেল্ট খুলে নিতে বলেন তিনি। অবাক দর্শকের কেউ-কেউ তা করেওছিলেন। সমস্ত বেল্ট মীর হাতে করে নিয়ে এসে রঞ্জিত মল্লিকের কাছে দিয়ে বলেন, “নিন এবার যত খুশি মারুন…”। বিষয়টি আজও ভুলতে পারেননি রঞ্জিত।