‘লাল্টু’ এবং ‘মিতালি’। সে ‘রামধনু’র হোক বা ‘হামি’র। সে ‘বিশ্বাস’ হোক বা ‘দত্ত’। লাল্টু এবং মিতালি তো একই। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shiboprosad Mukherjee) এবং গার্গী রায়চৌধুরি (Gargi Roychowdhury)।
৬ জুন, ২০১৪। মুক্তি পেয়েছিল শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং নন্দিতা রায় পরিচালিত ‘রামধনু’। লাল্টু, মিতালির সঙ্গে দর্শকের প্রথম আলাপ। সাত বছর পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও সমান প্রাসঙ্গিক দম্পতি। আসলে লাল্টুর মতো বাবা আর মিতালি মতো মায়েরা রয়েছেন আমাদের চারপাশেই। এমনটাই মনে করেন গার্গী।
সাত বছর পর ফিরে দেখলে মিতালির কোন কথাগুলো মনে পড়ে গার্গীর? গার্গী বললেন, “মিতালি আমাদের সমাজে ভীষণ ভাবে উপস্থিত, বিশ্বাস হোক বা দত্ত। মায়েরা এরকমই হয়। যে নিজের সন্তানকে নিয়ে অসম্ভব উদ্বেগে ভোগে। আমার বাড়িতে সাপোর্ট সিস্টেম কেষ্ট এবং ওর স্ত্রীও চায় ওদের সন্তান ইংলিশ মিডিয়ামে পরুক। ফলে মিতালিরা একই থাকে। যে কোনও সম্প্রদায় বা সামাজিক স্তরেই বাস করুক না কেন, মায়েরা একই থাকেন। আজ আবার ‘রামধনু’ করতে হলে মিতালি একই থাকবে। অভিনেত্রী সত্ত্বা হিসেবে বলছি। এই কয়েক বছরে যা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা দিয়ে আরও কিছু বদল আনতে পারব।”
গার্গী মনে করেন, রামধনুর সাতটা রং সমাজের প্রত্যেকটা শ্রেণীর প্রতীক। সাত বছরে মিতালির চোখে লাল্টু কতটা পাল্টেছেন? গার্গীর কথায়, “শিবপ্রসাদ লাল্টুর মতো। অনেক বেশি সাবলীল। অভিনেত্রী হিসেবে ওর সঙ্গে কাজ করেছি। আবার অভিনয় করার বাইরেও ওকে দেখেছি। ওর হাবভাব ওরকমই। সারল্যে মোড়া কথাবার্তা। ও অনেক বেশি লাল্টুর মতো। আমি অনেককে চিনি, কর্পোরেটে য়ার্ক ফ্রম হোম করছে। ওপরে শার্ট পরছে। পা খালি। ওটাই লাল্টু। বাইরে হয়তো অন্যরকম, ভিতরে আমরা সকলেই একরকম। লাল্টু, মিতালি। অন্তত আমরা তেমন হতে চাই।”
গার্গীর দাবি, প্রযোজনা সংস্থা ‘উইন্ডোজ’-এর পক্ষ থেকে ফের লাল্টু-মিতালিকে বড়পর্দায় আনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন পরিচালক জুটি। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে কবে সেই কাজ শুরু হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। পাশাপাশি তাঁর ‘মহানন্দা’র কাজ আবার শুরু হবে বলে জানালেন। তাঁর কথায়, “জুনের শেষ বা জুলাইয়ের প্রথম থেকে শুরু করব, ইচ্ছে আছে। সবটাই পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে।”
আরও পড়ুন, মুম্বইয়ের রাস্তায় খাবার বিতরণ করলেন সানি, করোনা বিধি না মেনেই ভিড়