হেদুয়া পার্কে বসে পোজ় বিশ্বনাথ বসুর, বললেন “ওখানে বান্ধবীদের থেকে ১ টাকা চাঁদা তুলতাম”

একগাল হেসে বললেন, “আরে তখন ক্যামেরা কোথায়! বিয়েবাড়ি গেলে ছবিটবি উঠত। মৌমিতাই বারবার বলত ছবি তুলত। আমি নিজেও দেখছি হ্যান্ডসাম লাগছি। আসলে সে সময়ে শরীরে ১০০ শতাংশ পজ়িটিভিটি ছিল, সেটা ছবিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।”

হেদুয়া পার্কে বসে পোজ় বিশ্বনাথ বসুর, বললেন ওখানে বান্ধবীদের থেকে ১ টাকা চাঁদা তুলতাম
বিশ্বনাথ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2021 | 10:43 AM

তখন তাঁর মধ্যযৌবন। তখন তাঁর কুড়ি। তিনি অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। কলেজ তখন স্কটিশচার্চ। বাংলা বিভাগের ছাত্র বিশ্বনাথ। সহপাঠী বলতে হাতেগানা পাঁচজন ছেলে, পরে একজন ছেড়ে চলে যায় কলেজ। বাদ বাকিরা মেয়ে। বন্ধুমহলে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন বিশ্বনাথ। সে সময় থেকে বিশ্বনাথের বন্ধু মৌমিতা। হঠাৎ বিশ্বনাথ বসু কিংবা মৌমিতার কথা উঠল কেন হঠাৎ করে? কারণ আজ এমন এক বৃষ্টির সকালে ভীষণ নস্টালজিক হয়ে পড়েন অভিনেতা। তেমনই আজকের সকাল। বৃষ্টি পড়ছে শহর জুড়ে। আর বিশ্বনাথ পিছিয়ে গেলেন তাঁর কলেজ দিনে। ফেসবুকে পোস্ট করলেন, ‘বসন্ত কেবিনের ধারে, হেদুয়ার রেলিং পাড়ে’ বসে থাকা একটি ছবি। নীল জিনসের শার্ট নীল প্যান্ট, পায়ে কালো বুট, পিঠে ব্যাগ। বসে রয়েছেন বিশ্বনাথ। একদৃষ্টে তাঁকিয়ে আছেন আনমনে। ছবিটি তুলে দিয়ে ছিলেন পুরনো বান্ধবী মৌমিতা।

 

 

“গতকাল রাতে মৌমিতা পাঠাল ছবিটা। ওর বিয়ে হয়ে গিয়েছে, মন্দিরতলায় থাকে। ছবিটা দেখে অনেক কটা বছর পিছিয়ে গেলাম,” বললেন বিশ্বনাথ। পুরনো দিনের সে সব স্মৃতি আজও মনে পড়ে বিশ্বনাথের। বললেন, “ক্লাসে যেহেতু মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তাঁরা প্রত্যেকেই বান্ধবী হয়েগিয়েছিল। ঠিক হেদুয়াতে ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে ওদের থেকে রোজ ১ টাকা করে চাইতাম। বলতাম এক টাকা দে, চাপ পড়বে না। ১২-১৪ টাকা উঠত। তারপর চাঁদার টাকাতে কখনও বসন্ত কেবিনে রোল, কখনও সিনেমা দেখতে যেতাম। এটা ডেলি রুটিন ছিল।”

বিশ্বনাথের ছবি তোলার পোজ়টিও বেশ কাব্যিক। শুনে একগাল হেসে বললেন, “আরে তখন ক্যামেরা কোথায়! বিয়েবাড়ি গেলে ছবিটবি উঠত। মৌমিতাই বারবার বলত ছবি তুলত। আমি নিজেও দেখছি হ্যান্ডসাম লাগছি। আসলে সে সময়ে শরীরে ১০০ শতাংশ পজ়িটিভিটি ছিল, সেটা ছবিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।”

আরও পড়ুন শাহরুখ আমাকে ৩০০ টাকা দিয়েছিল, এখনও রাখা আছে: প্রিয়ামণি