AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nusrat Jahan: চলচ্চিত্র উৎসবে ব্রাত্যর ছবি বাদের নেপথ্যে ‘রাজনীতি’? মুখ খুললেন ছবির নায়িকা নুসরত

নুসরত বলেন, "আমরা খারাপ কাজ করেছি বলে যদি বাদ দেওয়া হয়ে থাকে সেটা ক্রিয়েটিভ ডিসিশন। কিন্তু যদি রাজনৈতিক কারণে ছবিটি বাদ দেওয়া হয়ে হয়ে থাকে তবে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।"

Nusrat Jahan: চলচ্চিত্র উৎসবে ব্রাত্যর ছবি বাদের নেপথ্যে 'রাজনীতি'? মুখ খুললেন ছবির নায়িকা নুসরত
ব্রাত্য ও নুসরত।
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2021 | 6:21 PM
Share

গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘ব্রাত্য’ পরিচালক ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সিনেমা ‘ডিকশনারি’। ২৫ টি সিনেমার মধ্যে বেছে বেছে তাঁর ছবিটিই বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ব্রাত্যর। ওই ছবিতে ব্রাত্যর পরিচালনায় অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী-সাংসদ নুস্রত জাহানকে। ছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়ও। ব্রাত্যর অভিযোগ, রাজনৈতিক অভিসন্ধির ফলেই বাদ গিয়েছে তাঁর ছবি। নুসরতের কী প্রতিক্রিয়া? মুখ খুললেন টিভিনাইন বাংলার কাছে।

নুসরত বলেন, “আমরা খারাপ কাজ করেছি বলে যদি বাদ দেওয়া হয়ে থাকে সেটা ক্রিয়েটিভ ডিসিশন। কিন্তু যদি রাজনৈতিক কারণে ছবিটি বাদ দেওয়া হয়ে হয়ে থাকে তবে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।” তিনি তৃণমূলের সাংসদ, ব্রাত্য বসু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, সেই কারণেই কি রোষের মুখে ছবি? নুসরতের উত্তর, “সেই বিষয় প্রকাশে পেয়েই যাবে। আগে সত্যি সামনে আসুক, তারপর এই নিয়ে বাকি যা বলার বলব।”

নুসরতের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার ছবি বাদ পড়া প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ব্রাত্য বসুও। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য দাবি করেন, ছবিটির বাদ যাওয়ার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, প্রযোজক এবং ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার জুরিদের কাছে একটি ই-মেলে জানানো হয়েছে ছবির পরিচালক ব্রাত্য বসুর নামের বানান ভুল লেখা ছিল। ব্রাত্যবাবুর কথায়, “আমার নামের বানান বি এর (ইংরেজিতে) জায়গায় ডি গেছে! অর্থাৎ, দত্ত বসু লেখা হয়েছে। এর মধ্যে নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ায় পরে আমার পরিচালককে বলে আপনার যে কোনও ছবি পাঠান। অন্য যে কোনও ছবি, কিন্তু ডিকশনারি নয়।”ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, “কারণটা অত্যন্ত হাস্যকর। ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া তাদের একটা অ্যাপ্লিকেশনে নামের বানান ভুল গেছে একটা। অথচ আমার কাছে যে চিঠি এসেছে, ওয়েবসাইটে যখন আমার নামটা দিয়েছে, সেখানে নামের বানান ঠিক”।

এর পরে ব্রাত্যবাবু অভিযোগ করেছেন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাঁর ছবি বাদ দেওয়া হল। তিনি বলেন, “বিজেপি-কে নিশানা করে ব্রাত্য বলেন, আমার একটা রাজনৈতিক পরিচয় অবশ্যই রয়েছে। আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। আমার নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য যদি আপনারা ছবি বাদ দিতে চান দিন। তবে আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বিজেপি বিরোধিতা অব্যাহত থাকবে।” যদিও ব্রাত্যর এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।

আরও পড়ুন- Bratya Basu: ‘অন্য ছবি দিন, ডিকশনারি নয়’, গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘ব্রাত্য’ মন্ত্রীর সিনেমা!