Bratya Basu: ‘অন্য ছবি দিন, ডিকশনারি নয়’, গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘ব্রাত্য’ মন্ত্রীর সিনেমা!

Bratya Basu: "আমার নামের বানান বি এর (ইংরেজিতে) জায়গায় ডি গেছে! অর্থাৎ, দত্ত বসু লেখা হয়েছে। এর মধ্যে নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ায় পরে আমার পরিচালককে বলে আপনার যে কোনও ছবি পাঠান। অন্য যে কোনও ছবি, কিন্তু ডিকশনারি নয়।''

Bratya Basu: 'অন্য ছবি দিন, ডিকশনারি নয়', গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে 'ব্রাত্য' মন্ত্রীর সিনেমা!
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 6:08 PM

কলকাতা: গোয়া ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘ব্রাত্য’ পরিচালক ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সিনেমা ‘ডিকশনারি’। ২৫ টি সিনেমার মধ্যে বেছে বেছে তাঁর ছবিটিই বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ব্রাত্যর। আর এ নিয়ে রাজনৈতিক অভিসন্ধির অভিযোগ করলেন তিনি। পরিচালকের অভিযোগ, তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে ছবিটি ছেঁটে ফেলা হয়েছে ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে। এমনকি তাঁর প্রযোজককে নাকি বলা হয়, তাঁদের প্রোডাকশন হাউসের অন্য কোনও ছবি দেখানো যেতে পারে। কিন্তু ডিকশনারি নয়। আর এ নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় বিজেপির দিকে আঙুল তুললেন নাট্যকার, চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য দাবি করেন, ছবিটির বাদ যাওয়ার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, প্রযোজক এবং ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার জুরিদের কাছে একটি ই-মেলে জানানো হয়েছে ছবির পরিচালক ব্রাত্য বসুর নামের বানান ভুল লেখা ছিল। ব্রাত্যবাবুর কথায়, “আমার নামের বানান বি এর (ইংরেজিতে) জায়গায় ডি গেছে! অর্থাৎ, দত্ত বসু লেখা হয়েছে। এর মধ্যে নির্ধারিত দিন পেরিয়ে যাওয়ায় পরে আমার প্রযোজককে বলে আপনার যে কোনও ছবি পাঠান। অন্য যে কোনও ছবি, কিন্তু ডিকশনারি নয়।”

ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, “কারণটা অত্যন্ত হাস্যকর। ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া তাদের একটা অ্যাপ্লিকেশনে নামের বানান ভুল গেছে একটা। অথচ আমার কাছে যে চিঠি এসেছে, ওয়েবসাইটে যখন আমার নামটা দিয়েছে, সেখানে নামের বানান ঠিক”।

এর পরে ব্রাত্যবাবু অভিযোগ করেছেন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাঁর ছবি বাদ দেওয়া হল। জুরিরা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করা সত্ত্বেও, আন্তর্জাতিক স্তরে পুরস্কার পাওয়া সত্ত্বেও বাদ দেওয়া হল।

তিনি আরও যোগ করেন, কোভিড বিধি কাটার পর প্রেক্ষাগৃহে যে প্রথম সিনেমাটা দেখানো হয় সেটা তাঁর ছবি ‘ডিকশনারি’। হাউসফুল হয়েছে ছবিটি। “কিন্তু ছবিটি নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁরা হয়ত বুঝতে পারেননি। তার পর তাঁদের কাছে আমার রাজনৈতিক পরিচয় গিয়েছে। তার পর ছবিটি বাদ দেওয়া হয়েছে।” বলেন তিনি।

এর পর বিজেপি-কে নিশানা করে ব্রাত্য বলেন, আমার একটা রাজনৈতিক পরিচয় অবশ্যই রয়েছে। আমি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। আমার নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য যদি আপনারা ছবি বাদ দিতে চান দিন। তবে আমার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বিজেপি বিরোধিতা অব্যাহত থাকবে।

তাঁর দাবি, রাজ্য থেকে কেউ কলকাঠি নাড়তে পারে। তার পর নড়েচড়ে বসেন দিল্লির কর্তারা। তৃণমূলের গোয়া সফরের পরে এই ঘটনা কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত? ব্রাত্য বসু দাবি করলেন হ্যাঁ। বলেন, “গোয়ায় আমরা যাবই, সরকারও গঠন করব। আমার রাজনৈতিক পরিচয় থাকবে। তবে ছবির সঙ্গে যদি রাজনীতি মেলায় সেটা ওদের ভাবনা-চিন্তা। এটা অবশ্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে করা হয়েছে। আমার রাজনৈতিক পরিচয় ওনাদের কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

প্রসঙ্গত, ‘ডিকশনারি’ ছবিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেতা মোশারফ করিম। রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান, আবির চ্যাটার্জি প্রমুখ। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি কলকাতার সিনেমা হলগুলিতে মুক্তি পায় ছবিটি।

এদিকে নুসরতের প্রতিক্রিয়া, যদি মেধার ভিত্তিতে ফিল্মটি সরানো হয় তাহলে তাঁর কোনও অসুবিধা নেই, কিন্তু কারণটা রাজনৈতিক হলে তা সামনে আসা দরকার। যদিও ব্রাত্যর এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।

আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: শুভেন্দুর উদ্দেশে ‘কুমন্তব্য’, কাঁথি আদালতে কুণালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের