‘দুর্গা সহায়’ তাঁদের শেষ ছবি। ফের তীরন্দাজ শবর-এ একসঙ্গে কাজ। তাঁরা অর্থার পরিচালক অরিন্দম শীল এবং অভিনেত্রী দেবযানী চট্টোপাধ্যায়। শনিবার থেকে কলকাতায় ‘তীরন্দাজ শবর’-এর শুটিং শুরু করলেন অরিন্দম। এতদিন পরে ফের প্রিয় পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আপ্লুত দেবযানী। সেট থেকেই শেয়ার করলেন ছবি।
বহু প্রত্যাশিত অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘তীরন্দাজ শবর’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকছেন দেবযানী। তাঁর কথায়, “দুর্গা সহায় ছবির পর আবারও অরিন্দম শীল এর সঙ্গে কাজ। ছবিতে আমার চরিত্রের একেবারে অন্য রকম। তবে এখনই চরিত্রের বিষয়ে কিছু জানানো যাবে না। এই ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে খুবই এক্সাইটেড লাগছে।”
গত বছরই ছবির ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। এ বার শুরু হল এই ছবির শুটিং। অরিন্দমের শবর সিরিজের এটি চার নম্বর ছবি। নামভূমিকায় প্রতিবারের মতো এ বারেও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অপ্রকাশিত উপন্যাস ‘তীরন্দাজ’ অবলম্বনে গাঁথা হয়েছে এই ছবির গল্প। ছবিতে শাশ্বত ছাড়াও রয়েছেন দেবলীনা কুমার, দেবযানী চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকেই। ছবিতে এক বিশেষ চরিত্রে থাক ছেন নাইজেল আকারাও। এই প্রথম অরিন্দমের ছবিতে নাইজেল। সঙ্গীত পরিচালনায় দায়িত্বে দেখা যাবে বিক্রম ঘোষকে।
মাস কয়েক আগে ‘মহানন্দা’ ছবির শুট করেছেন পরিচালক। স্বনামধন্য সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর জীবনকথা এবং তাঁরই লেখা গল্পকথা মিশেলে ছবিটি। মহাশ্বেতা দেবীর চরিত্রে দেখা যাবে গার্গী রায় চৌধুরী এবং বিজন ভট্টাচার্য দেবশঙ্কর হালদার। ১৯৬২ সালে বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে মহাশ্বেতার। সংসার ভেঙে গেলেও ছেলে নবারুণের জন্য খুব ভেঙে পড়েছিলেন। সে সময় তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করতেও গিয়েছিলেন, চিকিৎসকদের চেষ্টায় বেঁচে যান। ‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসে তিনি ছেলে থেকে বিচ্ছিন্ন হবার যন্ত্রণার প্রকাশও করেছিলেন।
টিভিনাইন বাংলাকে সেই ছবি প্রসঙ্গে অরিন্দম বলেছিলেন, “মহাশ্বেতা লিখেছিলেন, আমি আমার ঘর, আমার সংসার, আমার বাচ্চা সবাইকে ছেড়ে চলে আসি। বিবাহ বিচ্ছেদ সহজ কথা ছিল না সে সময়ে। তার থেকেও বড় নিজের ছেলেকে ফেলে চলে আসেন মহাশ্বেতা। ফেলে আসার পর ডিপ্রেশনে চলে যান লেখিকা। এই অসম্ভব ভালবাসা এবং ডিপ্রেশন। এবং আত্মহত্যার চেষ্টা। তাই কিশোর নবারুণ ছবিতেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।”
আরও পড়ুন, Kareena Kapoor Khan: শনিবার ডিনারে সারপ্রাইজ বিরিয়ানি, কে পাঠালেন করিনাকে?