Exclusive Soham Chakraborty: ভোটে হারার পর কেউ খোঁজ নেয়নি, ঘুম আসত না, চোখে জল: সোহম চক্রবর্তী

Tollywood: কথায় বলে 'চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়'। সোহম চক্রবর্তীর ক্ষেত্রেও সে হিসেব যেন মিলে গিয়েছে একেবারেই। করেছেন দুঃসহ স্ট্রাগল। এখন জীবন অনেকটা গোছানো। আসছে পরবর্তী ছবি 'শ্রীমতী'। স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এই প্রথম বার তাঁর বিপরীতে। কঠিন দিন থেকে বয়সে বড় নায়িকার সঙ্গে প্রেম, TV9 বাংলায় আনকাট চণ্ডীপুরের বিধায়ক।

Exclusive Soham Chakraborty: ভোটে হারার পর কেউ খোঁজ নেয়নি, ঘুম আসত না, চোখে জল: সোহম চক্রবর্তী
সোহম চক্রবর্তী।
Follow Us:
| Updated on: Jun 20, 2022 | 10:08 PM

হিরো সোহমের নারীপ্রধান ছবিতে অভিনয়ে ছুঁৎমার্গ ছিল?

প্রথম দিকে তো একটু মন খুঁতখুঁত ছিলই। এই ছবিতে আমি যে লিড, এই কথা আমি কখনওই বলব না। ‘সেকন্ড থট’-ও এসেছিল। করা উচিত হবে কি হবে না, মনে হয়েছিল বারেবারেই। সেভাবেই ওরা স্ক্রিপ্টটাকে অদলবদল করে।

এই যে ‘দিদি’ বলে ডেকে স্বস্তিকার সঙ্গে ক্যামেরায় রোম্যান্স, এটা কতটা চ্যালেঞ্জিং? 

(বেশ খানিকটা হেসে) আসলে স্ক্রিপ্টের মধ্যেই বোঝানো হয়েছে আমাদের মধ্যে একটা বয়সের ফারাক রয়েছে। এবং কলেজে আমাদের দিদি-ভাইয়ের জুটি বলতো (এই ছবিতে সোহম-স্বস্তিকা একই কলেজের পড়ুয়া)। কিন্তু অভিনয় করার সময়ে একদম অসুবিধে হয়নি।

বিধায়ক কখনও বয়সে বড় কোনও মহিলার প্রেমে পড়েছেন?

(লাজুক হেসে) না, না। এহ্ বাবা। সে সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কোনওটাই আমার হয়নি।

হালফিলের নতুন ট্রেন্ড ‘রিভার্স ফেমিনিজ়ম’ অর্থাৎ যে মহিলারা বাইরে বেরিয়ে কাজ করছেন না, তাঁরা বড় বেশি অবজ্ঞার পাত্রী হয়ে ওঠেন। আপনি ব্যাপারটা কীভাবে দেখেন? 

আমার দুই সন্তান যখন হয়, তখন তনয়া—মানে আমার স্ত্রী—সচেতনভাবে চাকরি ছাড়ে। এটা কিন্তু ওর নিজস্ব সিদ্ধান্ত ছিল। তাই নিয়ে ওকে জাজ করা হবে কেন? এখন আমি যেমন বাইরেটা সামলাচ্ছি, মায়ের সঙ্গে সঙ্গে তনয়া কিন্তু পুরো সংসারটা গুছিয়ে রাখছে। এটাও কিন্তু ওর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আর একটা কথা হলফ করে বলতে পারি যে, কোনও পুরুষের ক্ষেত্রে সংসার টালমাটাল হয়ে গেলে সে বাইরে কোথাও শান্তি পাবে না।

পরিবারকে কতটা সময় দেওয়া হয়?

দু’টো দায়িত্ব এখন কাঁধে। খুব যে দিতে পারি তা নয়। তবে চেষ্টা করি ‘পেরেন্ট-টিচার্স মিট’গুলোতে যাওয়ার, চেষ্টা করি একসঙ্গে কিছুটা হলেও প্রত্যেকদিন সময় কাটানোর। ওদের বড় হয়ে ওঠার সাক্ষী থাকতে চাই সব সময়।

টলিউডের তিন অভিনেত্রীর পর পর আত্মহত্যা, কারণ অবসাদ। সোহম চক্রবর্তী স্ট্রাগল কতটা চেনে?

চিনি মানে? বাইরে থেকে অনেক কিছুই চকচকে লাগে। আমার জীবন কিন্তু কখনওই মসৃণ ছিল না।

ছোটবেলাতেই এত পরিচিতি পেয়েও এমনটা বলছেন?

(ঠোঁটের কোণে ফুটে ওঠে হাল্কা হাসি) খুব খোলাখুলি বলছি তাহলে… । ২০১৬ সালে আমি যখন ভোটে হেরে যাই, আমার এই ফোনটা টানা দেড় বছর শুধুমাত্র পড়ে থাকত (মোবাইল ফোনটাকে দেখিয়ে তিনি যা বলেন, তার অর্থ: দেড় বছর ফোনটা বাজেনি)। একটা কল পর্যন্ত আসত না, কাজ তো ছেড়ে দিন। কেউ ফোন করে জিজ্ঞাসাও করত না “কেমন আছ”? মাঝরাতে উঠে বসে পড়তাম। ঘুম আসত না, চোখে জল চলে আসত।

(একটু থেমে আবার বলা শুরু করলেন)

নিজেকে মেরে দেওয়া তো মিনিটের ব্যাপার। কিন্তু যাঁদেরকে ফেলে গেলাম, তাঁদের কী হবে? একটু পিছিয়ে যাই, এমনও হয়েছে বাসভাড়া দিতে পারব না বলে সেই রাস্তাটা হেঁটে গিয়েছি। লেক কালিবাড়ির সামনে দিয়ে হাঁটতে-হাঁটতে বলতাম, “মা, আজ হাঁটাচ্ছ। কাল কিন্তু গাড়ি নিয়ে যাব।” লোকে হয়তো বিশ্বাস করবে না জল কিনে পয়সা নষ্ট করব না বলে থুতু গিলেছি। সুতরাং সবটাই শিক্ষা। মরে যাওয়া কোনও সমাধান হতে পারে না। যেদিন এটা বুঝে যাবে, সেদিনই জীবন অনেক সহজ হয়ে উঠবে।