Arpita Chatterjee: ‘স্ক্রিনে অসুস্থ দেখানোর জন্য অনেকটা ওজন ঝরানোর ব্যাপার ছিল, চেষ্টা করেছি’
প্রথমবার বড়পর্দায় লীলাকে দেখবেন দর্শক। বিভূতিভূষণের লেখায় এক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে লীলা। অপুর জীবনের প্রথম প্রেম। লীলার চরিত্রে দেখা যাবে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে। ছবি মুক্তির আগে TV9 বাংলার সঙ্গে একান্তে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
বছর ষাট পেরিয়ে আবারও সেলুলয়েডের পর্দায় অপু-অপর্ণা। আবারও সেই নস্ট্যালজিয়া। সত্যজিৎ রায় অপুর ট্রিলজি শেষ করেছিলেন ১৯৫৯-এ অপুর সংসার দিয়ে। ঠিক সেখান থেকেই শুরু হবে অভিযাত্রিক। পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর হাত ধরে ষাট বছর পর বাঙালি দর্শকের সামনে আসছে অপু। অপু অপর্ণার সঙ্গে বহু বছরের পরিচয় দর্শকের। এই প্রথমবার বড়পর্দায় লীলাকে দেখবেন দর্শক। বিভূতিভূষণের লেখায় এক বড় অংশ জুড়ে রয়েছে লীলা। অপুর জীবনের প্রথম প্রেম। লীলার চরিত্রে দেখা যাবে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে। ছবি মুক্তির আগে TV9 বাংলার সঙ্গে একান্তে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
আর দুদিন পরই ‘অভিযাত্রিক’ মুক্তি পাবে। ছবি মুক্তির আগে এখন ঠিক কী মনে হয়?
এখন হোক কি তখন। অনুভূতি কিন্তু সেই প্রথম দিনের মতো। এখনও ছবি মুক্তির আগে টেনশন হয় ভয় করে। বুক ধকধক করে। এত বছর পরও কোনও কিছুরই পরিবর্তন হয়নি। আমার মনে হয় না এই অনুভূতিটা কোনওদিন যাবে বলে। কারণ পদ্ধতি তো সেই একই আছে। আর বছরের পর বছর ধরে আমাদের একটাই উদ্দেশ্য দর্শকদের যেন ভাল লাগে।
‘লীলা’ চরিত্রর জন্য বিভূতিভূষণকে আবারও পড়তে হল?
না, সত্যি বলতে আমি আগেও উপন্যাসটি পড়িনি। এখনও পড়া হয়ে ওঠেনি। আমি সবসময় আমার দর্শকদের সত্যি কথা বলতেই পছন্দ করি। এই চরিত্রটা সম্পর্কে আমি কিচ্ছুটি জানতাম না। আমার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উপন্যাস এবং অপু, অপর্ণাকে চেনা কিন্তু সত্যজিতের চোখ দিয়েই। আমার ধারণা এক্ষেত্রে আমি একা নই এমন লক্ষ লক্ষ বাঙালি রয়েছেন আমার দলে। লীলা অনেকের কাছেই তাই অজানা। তবে সত্যজিৎ রায় লীলার ট্র্যাকটি শুট করেছিলেন। কিন্তু ছবিতে রাখেননি। তবে এমন একটা চরিত্র । অপুর জীবনের প্রথম প্রেম। সেই চরিত্রে অভিনয় করা আমার কাছে বড় প্রাপ্তি।
লীলাকে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য কী কী ধাপ পেরোতে হয়েছে?
এই ছবিতে দুটো ট্র্যাক রয়েছে। যেখানে বহুবছর পর ট্রেনে অপুর সঙ্গে লীলার দেখা। তখন লীলা অসুস্থ, শীর্ণকায় চেহারা তাঁর। বহু বছর আগে যে লীলার প্রেমে পড়েছিল অপু, সেই লীলার সঙ্গে এই লীলার আকাশ-পাতাল তফাৎ। দুটো শেড দেখা যাবে ছবিতে। স্ক্রিনে অসুস্থ দেখানোর জন্য অনেকটা ওজন ঝরানোর ব্যাপার ছিল। আমি চেষ্টা করেছি। পরিচালকের পছন্দ হয়েছে। এখন দর্শকদের কেমন লাগে সেটাই দেখার।
অপু-অপর্ণার চরিত্রে অর্জুন, দিতিপ্রিয়া। দিতিপ্রিয়া মানেই ইয়ং এনার্জি। সঙ্গে অপুর চরিত্রে অর্জুন। কেমন অভিজ্ঞতা?
দিতিপ্রিয়ার সঙ্গে যদিও স্ক্রিন শেয়ার করিনি। তবে যতই সবাই বলুক নতুন অভিনেত্রী । যে কোনও পুরোনোদের ভয় পাইয়ে দেবে। আমি টেলিভিশনে ওঁর কাজ দেখেছি। ওঁর অভিনয় আমার খুবই পছন্দ। আর অর্জুনের কথা কী বলি। আমার সঙ্গে অর্জুনের প্রথম পরিচয় প্রযোজক হিসাবে। ‘গানের ওপারে’-তে ওঁকে লঞ্চ করা হয়। তখন অর্জুন অনেক ছোট। চোখের সামনে ও যেভাবে অভিনেতা হিসাবে পরিণত হয়েছে তা ভীষণই প্রশংসনীয়। অর্জুন খুবই ভাগ্যবান নিজের কেরিয়ারে ও যে এইরকম একটা চরিত্র পেয়েছে। হ্যাঁ, লেজেন্ডদের সঙ্গে ওঁর তুলনা হবে ঠিকই। তবে এই সময়ে দাঁড়িয়ে অপু চরিত্র অর্জুনের থেকে ভাল কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারতো বলে আমার মনে হয় না।
গওহর জানকে দেখে মুগ্ধ দর্শক। এই রকম আরও কিছু পরিকল্পনা আছে কি?
এখনিই তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। এটা নিয়ে প্রচুর শো আছে। ১৮ ডিসেম্বর জি.ডি.বিড়লা সভাঘরে আবারও শো আছে। এই শো নিয়ে প্রচুর আবেদন আসছে বাংলাদেশ, দিল্লি, আমেরিকা থেকে। সেটা নিয়েই ভাবছি।
২২ বছরের অভিনয় যাত্রায় ঝুলিতে বহু ছবি। ছেলে মিশুককে কোন ছবি দেখাতে চান? মিশুক বাংলা ছবি দেখে?
(অনেকটা হাসি) মিশুক বাংলা ছবি দেখে। তবে এটা আমার কাছে বেশ কঠিন প্রশ্ন। সত্যিই কোনও দিন ভেবে দেখিনি তো আগে। ও আসলে আমাকে পর্দায় দেখতে একদমই স্বচ্ছন্দ নয়।
আরও পড়ুন:Kriti Sanon: ‘জীবন ধ্বংস করে দিয়েছ তুমি কৃতী…’, ভক্তের ‘অভিযোগে’ ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী