Sandip Chowdhury Death: প্রয়াত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর পুত্র সন্দীপ; শোকের ছায়া টেলি ও টলিপাড়ায়
Anjan Chowdhury Son Death: কিছুদিন আগে 'ফেরারি মন' ধারাবাহিকের সেটে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সন্দীপ। তাঁকে তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেখা যায় হার্টের সমস্যা।
বছরের শুরুতেই খারাপ খবর। ২ জানুয়ারি খবর আসে ভোর রাতে মৃত্যু ঘটেছে বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেনের। বেলা গড়াতে না-গড়াতেই জানা যায়, মৃত্যু হয়েছে সন্দীপ চৌধুরীর। কে এই সন্দীপ চৌধুরী? বাণিজ্যিক ছবির বিখ্যাত পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর একমাত্র পুত্র। যাঁকে টালিগঞ্জ চেনে ‘বাবু’ নামে। ৪৪ বছর বয়সি বাবুর মৃত্যুতে শোকাহত টলি এবং টেলিপাড়া। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর ‘বিদ্রোহিনী’ ছবির পরিচালক ছিলেন তিনি। বাংলা সিরিয়াল ‘উড়ন তুবড়ি’র ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ছিলেন সন্দীপ চৌধুরী।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ‘ফেরারি মন’ ধারাবাহিকের সেটে অজ্ঞান হয়ে পড়েন সন্দীপ। তাঁকে তখনই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। দেখা যায় হার্টের সমস্যা। ফুসফুসে জল জমে গিয়েছিল। কিডনিরও অবস্থা ভাল ছিল না। মাল্টিঅরগ্যান ফেলিওর হয় ধীরে-ধীরে।
ইকবালপুর নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছিল সন্দীপকে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সকাল ১০.৫০-এ মৃত্যু হয়েছে সন্দীপের। হাসপাতাল থেকে তাঁর পার্থিব দেহ বের করা হচ্ছে। হার্টের সমস্যা ছিল। ডায়াবিটিজ়ে আক্রান্ত ছিলেন। কিডনিরও সমস্যা ছিল।
অঞ্জন চৌধুরীর প্রায় সমসাময়িক পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। ছেলেবেলায় আদরের বাবু তাঁর কোলে-কোলে ঘুরেছেন একটা সময়। TV9 বাংলাকে তিনি বলেছেন, “যে জন্য ফোন করেছেন, সে খবর সত্যি। বুকে স্টেন বসেছিল। আমরা কিন্তু এই খবর জানতাম না। রক্তে সুগারের মাত্রা বেশি ছিল। সেই থেকে সুগার ফল করে। ইনফেকশন হয়েছিল। ধীরে-ধীরে শরীরের অঙ্গ বিকল হয়ে যায়। ইকবালপুরের একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়েছিল। ওঁ আমাদের কোলে-কোলে ঘুরত। আমি তো ভাবতেই পারছি না ওঁ আর নেই এই দুনিয়ায়। ৪৪-৪৫ বয়স হবে। বেশ কিছু ছবি তৈরি করেছিল। কিন্তু সেই ছবি চলেনি। তবে হ্যাঁ, সিরিয়ালে ওঁর একটা সুনাম তৈরি হয়েছিল। ভাল কাজ করত। ভাল লিখতে পারত। আমি এই সমস্ত কথা ওর ছোট বোন বুকাইয়ের (রিনা চৌধুরী) থেকে জানতে পেরেছি।”
সন্দীপের মৃত্যুতে শোকাহত তাঁর সহ-কর্মীরা। ‘উড়ন তুবড়ি’ ধারাবাহিকের অভিনেত্রী রিতা দত্ত চৌধুরী কান্নায় ভেঙে পড়েন, “এই খবর একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ওঁর মতো মানুষ হয় না একেবারেই। আমি তো ভাবতেই পারছি না।”