AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vikram Chatterjee: শোলাঙ্কি, মধুমিতা, দিতিপ্রিয়া… বিক্রমের সঙ্গে কোন নায়িকার রসায়ন কেমন?

Tollywood Chemistry: মহিলাদের অতি পছন্দের নায়ক বিক্রমের কেমন রসায়ন এই তিন নায়িকার সঙ্গে? তিন নায়িকার মনের হদিশ কি দিতে পারলেন বিক্রম? খোঁজ নিল TV9 বাংলা।

Vikram Chatterjee: শোলাঙ্কি, মধুমিতা, দিতিপ্রিয়া... বিক্রমের সঙ্গে কোন নায়িকার রসায়ন কেমন?
বিক্রমের সঙ্গে কোন নায়িকার কেমন রসায়ন?
| Updated on: Jul 14, 2022 | 4:25 PM
Share

স্নেহা সেনগুপ্ত

নিজে মুখেই স্বীকার করেছেন তাঁর নায়িকাভাগ্য ভীষণ ভাল। তিনি অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। সম্প্রতি শুট শেষ করলেন ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’ ছবির। অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়ের সঙ্গে এই ছবিতে ফের কাজ করলেন তিনি। এর আগে লীনা গঙ্গোপাধ্য়ায়ের ‘ইচ্ছেনদী’ সিরিয়ালে কাজ করেছিলেন বিক্রম-শোলাঙ্কি, নায়ক-নায়িকা জুটি হয়েই। বিক্রম সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবির ঘোষণা করেছিলেন নদীর পাড়ে তোলা দু’জনের ছবি পোস্ট করে। কেবল তাই-ই নয়, অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায়ের সঙ্গেও একটি ছবির (নাম ঠিক হয়নি এখনও পর্যন্ত) জন্য শুট করলেন বিক্রম। অভিনেত্রী মধুমিতা সরকারের সঙ্গে তাঁর অভিনীত ‘কুলের আচার’ মুক্তি পাচ্ছে ১৫ জুলাই (আগামিকাল, শুক্রবার)। তরুণ প্রজন্মের তিনজন প্রতিশ্রুতিবান অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করলেন পরপর। তিনজন তিন রকম। প্রত্যেকেই জনপ্রিয় হয়েছেন টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করে। বিক্রমও সিরিয়াল, সিনেমা আর ওয়েব সিরিজ়ের পরিচিত মুখ। তাঁর ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যা হাতে গুণে শেষ করা যাবে না। মহিলাদের অতি পছন্দের নায়ক বিক্রমের কেমন রসায়ন এই তিন নায়িকার সঙ্গে? তিন নায়িকার মনের হদিশ কি দিতে পারলেন বিক্রম? খোঁজ নিল TV9 বাংলা।

শোলাঙ্কি রায়, দিতিপ্রিয়া রায় ও মধুমিতা সরকারের সঙ্গে তাঁর ‘বিশেষ’ রসায়ন নিয়ে কথা বললেন বিক্রম। প্রত্যেককেই আগে থেকে চিনতেন। একজন হিরো/নায়ক হিসেবে তিন নারীর সঙ্গে কাজের রসায়নকে তিনভাবে ব্যাখ্যা করেছেন বিক্রম?

বিক্রম বলেছেন, “শোলাঙ্কি ও আমাকে আগেই দর্শক দেখে নিয়েছে ‘ইচ্ছেনদী’ ধারাবাহিকে। প্রথম কাজ থেকেই আমাদের জুটি বেশ জনপ্রিয়। আমরা খুব ভাল বন্ধুও। ও এমন একজন কো-অ্যাক্টর, যার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে মারামারি পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে ফ্লোরে। কিন্তু আমরা দু’জনেই কমফর্টেবল। একে-অপরের সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। প্রত্যেক শট দেওয়ার পর ওকে জিজ্ঞেস করে নিই, ঠিক আছে কি না। কারণ আমি জানি, ও দুর্দান্ত সমালোচক। ভুল করলেও আমাকে ও বলে দেয়। শোলাঙ্কির ক্ষেত্রেও কিন্তু সেটাই। ও-ও শট দিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করে। এই বোঝাপড়া আমাদের মধ্যে রয়েছে। অতীতে আমরা দু’বছর একসঙ্গে কাজ করেছি। সেই কাজের সময়ই আমাদের মধ্যে এই বোঝাপড়াটা তৈরি হয়েছিল। দেখলাম, এতবছর পরও আমাদের মধ্যে সেটা রয়ে গিয়েছে। শোলাঙ্কিই আমাকে যে মাত্রায় বিরক্ত করতে পারে, সেটা আর কেউ পারে না। এটাই আমার শোলাঙ্কির সঙ্গে রসায়ন।”

আগামিকাল, ১৫ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘কুলের আচার’। স্বামী-স্ত্রীর চরিত্রে মধুমিতা-বিক্রম। এই প্রথম মধুমিতার সঙ্গে কাজ করলেন অভিনেতা। মধুমিতার সঙ্গে তাঁর রসায়নের নাম দিয়েছেন ‘ম্যাচিওরিটি’। বিক্রম বলেছেন, “মধুমিতাকে আমি বহুদিন ধরে চিনি। দাসানি স্টুডিয়োর পাশাপাশি ফ্লোরে (কিন্তু অন্য ধারাবাহিকে) একসঙ্গে অভিনয় করতাম আমরা। এই ছবিতে (‘কুলের আচার’) আমাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। যেই একটি সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীতে রূপান্তরিত হয়, ম্যাচিওরিটিও চলে আসে। আমাদের অন-স্ক্রিন ও অফ-স্ক্রিন রসায়নটাও সেরকমভাবেই ম্যাচিওর হয়ে উঠেছে। সিন নিয়ে আলোচনা করার সময় আমরা ম্যাচিওরিটির সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্তু কাজের বাইরে কফি খাওয়ার সময় কিংবা আড্ডার সময় চূড়ান্ত ফাজলামি করেছি।”

বাংলার বিনোদন জগতে দিতিপ্রিয়ার পদার্পণ শিশুশিল্পী হিসেবে। তখন থেকেই তাঁকে চেনেন বিক্রম। ছবিতে একসঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা। দিতিপ্রিয়া সম্পর্কে বিক্রম বলেছেন, “দিতিপ্রিয়াকে যখন থেকে চিনি, ও তখন শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করত। খুবই ছোট ছিল দিতিপ্রিয়া। এখন ও আমার নায়িকা। আবারও ওর সঙ্গে কাজ করতে চাই। শুটিং শুরুর আগে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এ অতিথি হয়ে এসেছিল। তখনই বুঝেছিলাম আমাদের মধ্যে কেমিস্ট্রি আছে। এই কথা কিন্তু জিতদাও (অভিনেতা জিৎ) আমাদের বলেছিলেন। তিনিই বলেছিলেন, আমাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। তারপর সত্যিই আমাদের কাস্ট করা হয়। দিতিপ্রিয়া যেহেতু আমার চেয়ে অনেকটাই ছোট, আমি ওকে বুলি করি, ওর পিছনে লাগি। ও আমাকে যাই-ই বলতে আসুক না কেন, আমি বলে দিই, ‘আমি তোর চেয়ে বয়সে অনেক বড়’। ও যদি আমার সঙ্গে ঝগড়াও করতে আসে, এই কথাটা বলেই আমি ওকে ফিরিয়ে দিই। তবে যতই যাই হোক, শুটিং করেছি আনন্দের সঙ্গে। উত্তরবঙ্গে শুটিং করেছি। ১১ দিন আউটডোর হয়েছে আমাদের।”

বিক্রম মনে করেন তাঁর নায়িকাভাগ্য ভীষণই ভাল। এর আগে ‘ফাগুন বউ’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের সময়ও অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা সেনের সঙ্গে দারুণ রসায়ন তৈরি হয় বিক্রমের। অন্যান্য অভিনেত্রীর সঙ্গেও তাই। তাঁর কথায়, “এর জন্য ভাগ্য দরকার। সেই সঙ্গে কর্ম। কর্ম ভাল হলে, জীবনে সব ভালই হয়…”