Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দ্বারকানাথের সফর শেষ, আবেগে ভাসছেন হানি, কাঁদছেন অভিনেতার বাবা, অনুরাগীরা

ছেলের জার্নিতে বাবা অরুণ বাফনারও আজ মনে পড়ে যাচ্ছে কিছু দিন আগে বিকেলবেলা ছেলের স্টুডিয়োতে পৌঁছনোর কথা। সেদিন ছেলের এই শেষ সফরনামার শট ছিল।

দ্বারকানাথের সফর শেষ, আবেগে ভাসছেন হানি, কাঁদছেন অভিনেতার বাবা, অনুরাগীরা
শেষের সে দিন।।
Follow Us:
| Updated on: Feb 25, 2021 | 9:37 PM

যেন আত্মীয় বিয়োগ হয়েছে, নিজের কেউ ছেড়ে চলে গিয়েছে সারাজীবনের মতো– ফেসবুক জুড়ে হাহাকার, আক্ষেপ, স্বজন হারানোর যন্ত্রণা। স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘প্রথমা কাদম্বিনী’তে আজ শেষ হল হানি বাফনার সফরনামা। ধারাবাহিকে প্রয়াত হলেন দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়। আবেগে ভাসছেন পর্দার দ্বারকানাথ অর্থাৎ হানি বাফনাও। আবেগপ্রবণ হানির বাবা অরুণ বাফনাও।

ফেসবুক পোস্টে হানি লিখেছেন, “প্রায় ২৭ বছর পার করলাম মাত্র নয় মাসে। মনে হল ২৭টা বছরের প্রত্যেক দিন প্রত্যেকটা মুহূর্ত কাটিয়েছি। সত্যি কথা বলতে গেলে কখনও মনে হয়নি অভিনয় করছি। মনে হয়নি আমি আমিই। ৯টা মাস যেন আলাদা একটা মানুষ ছিলাম।”

কাদম্বিনী শেষ হচ্ছে। কারণ, হিসেবে জানা যাচ্ছে টিআরপি কম। অথচ আজ হানি ওরফে দ্বারকানাথ তাঁর প্রিয় কাদম্বিনীর পাশে শুয়ে যখন অসুস্থ কণ্ঠে হাতড়াচ্ছিল স্মৃতি তখন চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি অনুরাগীরাও। স্ত্রীয়ের প্রতি তাঁর সস্নেহে ডাক ‘ক্ষেপী আমার…’নাড়িয়ে দিয়েছিল দর্শকদের। ছেলের জার্নিতে বাবা অরুণ বাফনারও আজ মনে পড়ে যাচ্ছে কিছু দিন আগে বিকেলবেলা ছেলের স্টুডিয়োতে পৌঁছনোর কথা। সেদিন ছেলের এই শেষ সফরনামার শট ছিল। অরুণবাবু ফেসবুকে লিখছেন, “হঠাৎ করেই হানি বলল, এই ঘরে থেকো না প্লিজ। বুঝলাম হানি চাইছে দ্বারকানাথ বাবুর মৃত্যু দেখলে যদি আমরা কান্নাকাটি করি… আগের রুমে এসে বসলাম… ওখান থেকেই স্ক্রিনে রুগ্ন দ্বারকানাথ মশাইয়ের সিন দেখলাম…হানির মা’র দিকে তাকালাম…দেখলাম ভারাক্রান্ত মুখের অবস্থা, আমার মনটাও তখন থমথমে…শুটিং শেষ হল… একটু পরে আমরা চলে এলাম… সেই বুড়ো হানিকে শুটিংয়ে ছেড়ে।”

সোশ্যাল মিডিয়ায় অগুণতি মেসেজ।

অরুণবাবু আজ গর্বিত বাবা। ধন্যবাদ দিতে চান তিনশ বছর আগে এ দেশে চলে আসা তাঁরা পূর্বপুরুষদের। তাঁর প্রতিটি লেখায় ঝরে পড়ছে কৃতজ্ঞতা। কাদের কাছে? তিনি লিখছেন, “এখন ভাবি, ভগবান আমায় বেশিই দিয়েছেন। তিনশ বছরের আগে পূর্বপুরুষরা যদি বাংলায় না আসতেন, এদেশে আমার জন্ম হতো না, অনেক কিছু অজানাই থেকে যেত, হানি কি দ্বারকানাথ হতো? আর কিছু কইতে পারতাসি না…লেখাগুলা ঝাপ্সা হইতাছে… কাইন্দা লই…”।

বাবা-মায়ের সঙ্গে হানি

অরুণবাবুর মতোই আজ বিকেলে কেঁদেছেন অগুণতি মানুষ। এমন না হারিয়ে যাচ্ছেন হানি। নতুন ধারাবাহিকে খুব শীঘ্রই দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু দ্বারকানাথের ভূমিকায় তাঁর অভিনয়, সোলাঙ্কির সঙ্গে তুখোড় কেমিস্ট্রি সত্ত্বেও টিআরপি গেরোকে অপরাধী করে আজ মুখভার তাঁর ভক্তদের। দ্বারকানাথ যে শুধু বাংলা সিরিয়ালের ‘টিপিকাল স্বামী’ নন, তিনি সখা, তিনি শিক্ষক, তিনি ‘হিরো’।