সাফল্যের চূড়ায় বসে আছেন যিশু সেনগুপ্ত। কলকাতা, তথা টলিউডের গলি থেকে অনেক আগেই অন্যত্র পদার্পণ করেছেন। উড়ে গিয়েছেন আরব সাগরের তীরে অবস্থিত মুম্বই নগরীতে। তেলেঙ্গানা ও দক্ষিণ ভারতেও তাঁর নিত্য যাতায়াত। কেবল বাংলা নয়, কাজ করছেন ভারতীয় ছবিতেও। হয়ে উঠেছেন ‘প্যান ইন্ডিয়া স্টার’। যিশুর আজ জন্মদিন। ৪০ পেরিয়েছেন ৫ বছর আগেই। আজ (১৫.০৩.২০২২) পা দিলেন ৪৫ বছর বয়সে। কলকাতার জর্জ ক্লুনি হয়ে উঠেছেন। আমরা বলছি না। বলছেন কলকাতাবাসী।
‘শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু’ থেকে ৯০-এর বাংলা বাণিজ্যিক ছবি, মাঝে অনেকগুলো বছর তেমন ডাক পাননি যিশু। ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবিতে দারুণ ভাবে দর্শক আবিষ্কার করলেন এক অন্য যিশুকে। তারপর আরও অনেক বাংলা ছবি, হিন্দি ছবি, দক্ষিণ ভারতীয় ছবি।ছবির নাম হাতে গুণে শেষ করা যাবে না। ঋতুপর্ণ চলে গেলেন অসময়ে। শূন্যতা তৈরি হল বাংলার বিনোদন জগতে। খানিক যিশুর কেরিয়ারে ও জীবনেও। বাবা-মায়ের সঙ্গেই সমান আসনে তাঁর ‘ঋতুদা’কে বসিয়েছিলেন যিশু। নিজের সুসজ্জিত বাড়িতে একটি কর্নারও রেখেছেন প্রিয় ঋতুদার স্মৃতির উদ্দেশে। সেটাই যিশুর মন খারাপের ঠিকানা। ঘরের মধ্যে ঘর।
TV9 বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে যিশুকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় কাকে প্ল্যানচেট করে তিনি ডাকতে চান। যিশু জানিয়েছিলেন, ঋতুপর্ণ ঘোষ এবং তাঁর বাবা-মাকে। আপেক্ষ করেছিলেন পরবর্তীতে তাঁর প্রতিপত্তি কেউই দেখে যেতে পারেননি। বলেছিলেন, “বাবা-মায়ের জায়গাতেই ঋতুদাকে রাখি। আমি এখন যে কাজগুলো করছি, তাতে আমার মা ও ঋতুদা খুব খুশি হতেন। বাবাও হতেন কিন্তু তিনি আমাকে কোনওদিনও ফোর্স করেননি। বাবা বলতেন যা করবে নিজের দমে করবে। তিনি আমার হয়ে কোনওদিন সুপারিশও করেননি কোথাও। মা সব সময় চাইতেন সুন্দর জীবন পাই আমি। যেটা আমার কাছে এখন রয়েছে। আসলে অনেক অভাবে বড় হয়েছি তো। ঋতুদা চাইতেন আমার কাজের ব্যাপ্তি। আমাকে অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চেয়েছিলেন ঋতুদা। চাইতেন আমি সেই সম্মান পাই। ঋতুদা সেটা আমার জন্য অনেকটাই করে দিয়ে গিয়েছেন। আমি জানি ওঁরা তিনজনেই আমাকে ঘিরে রয়েছেন। ওঁদের আশীর্বাদ না থাকলে আমিও এতদূর আসতে পারতাম না।”
নিজের প্রাসাদসম চারতলা বাড়িতে ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্য আলাদা কর্ণার রেখে দিয়েছেন যিশু। অভিনেতা বলেছেন, “ঋতুদা আমাকে প্রচুর জিনিস উপহার দিয়েছিলেন। সেই কর্ণারে ওই জিনিসগুলো আমি যত্ন করে রেখে দিয়েছি। ঋতুদার দেওয়া প্রচুর ফার্নিচার রয়েছে আমাদের বাড়িতে। ছোট-ছোট জিনিসও রয়েছে। আমার গণেশ ভাল লাগে। সেগুলো রয়েছে। বুদ্ধ রয়েছে ঋতুদার দেওয়া। মন খারাপে সেখানেই আড়াল খুঁজ়ি।”
আরও পড়ুন: Alia Bhatt Birthday: জন্মদিনে আলিয়ার ‘ব্রহ্মাস্ত্র’, একই অঙ্গে কত রূপ, ছকভাঙা উপহারে আলিয়া