অনেকেরই প্রিয় পেইন্টার তিনি। ভিনসেন্ট ভ্যানগগ। সেই ভ্যানগগেই মজেছেন এপার-ওপার দু’পার বাংলার অভিনেত্রী জয়া আহসান। লন্ডনে রয়েছেন তিনি। ভ্যানগগের আলোয় ও তাঁর সৃষ্টিতে ভরে রইলেন অভিনেত্রী। বেশ কিছু ভিডিয়ো ও ছবি পোস্ট করে লিখেছে, “লন্ডনে দিনটা কেমন ভ্যানগগে মুড়ে রইল। আলোর বিচ্ছুরণে চারপাশে ফুটে উঠল তার জীবন, তার শিল্প, তার ব্যথার গল্প, তার তীব্র আবেগমাখা রঙ। বিষণ্ণ আলোয় মনটা ভরে গেল।” এদিকে নতুন বছরে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন জয়া। অবলীলায় বলাই যায়, দারুণভাবে ২০২২ শুরু করেছেন অভিনেত্রী। একেবারে কিক-স্টার্ট পদ্ধতিতে! দারুণ খুশি তিনি। সুখবরটি জয়া ভাগ করে নিয়েছেন TV9 বাংলার প্রতিনিধির সঙ্গে। কী সেই সুখবর? জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন জয়া। ২০২২ সালের প্রথমদিন, অর্থাৎ ১ জানুয়ারি থেকেই দায়িত্ব সামলাবেন অভিনেত্রী। আগামী একবছরের জন্য এই দায়িত্ব পেয়েছেন জয়া।
কেবল অভিনয় তো নয়, একাধারে অনেক দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। জয়া একজন প্রযোজক ও সক্রিয় উন্নয়নকর্মী। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কারণে আগেই উচ্চ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এবার আরও একটি দায়িত্ব।
দারুণ আনন্দিত জয়া বলেছেন, “ইউএনডিপির শুভেচ্ছাদূত হতে পেরে একদিকে যেমন আনন্দ হচ্ছে, অন্যদিকে সম্মানিত বোধ করছি। সুন্দর পৃথিবীকে রক্ষা করার বিষয়ে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ২০৩০ সালের মধ্যই অর্জন করতে হবে। সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমি কাজের মধ্যে দিয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করব। আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশসহ বিশ্বকে আরও সুন্দর ও সহনশীল হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করব। এই পৃথিবীকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে তোলা আমাদের সক্কলের অঙ্গীকার। সেই অঙ্গীকার রক্ষা করতে হলে আমাদের সবাইকে যার যার দায়িত্ব পালন করতেই হবে।”
“জয়া আহসানের মতো একজন মানুষকে পেয়ে আমরা খুশি। তিনি কেবলমাত্র জনপ্রিয় শিল্পী নন। সমাজ উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ একজন ব্যক্তি। তাঁর ইউএনডিপির শুভেচ্ছা দূত হওয়া আমাদের কাছে সৌভাগ্যের বিষয়। তাঁর মাধ্যমে আমাদের কথা দেশ ও দেশের বাইরের মানুষকে আরও বেশি করে পৌঁছতে পারব বলে বিশ্বাস করি,” বলেছেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Ronit Roy: ৭ বছর পর সিরিয়ালে ফেরত এলেন রনিত রায়, বাদ পড়লেন জিমি শেরগিল