কোয়েল মল্লিক কি ঈশ্বর বিশ্বাসী? না! সে প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেননি তিনি। তবে তথাস্তু ভগবানে এক সময় ঘোরতর বিশ্বাস ছিল কোয়েলের। কে এই ‘তথাস্তু ভগবান’? এ হেন ভগবানের নাম শুনেছেন কখনও?
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করেছেন কোয়েল। তাঁর কথায়, ‘আমি তথাস্তু ভগবানে বিশ্বাস করতাম। আমি জানি না, কোথা থেকে মাথায় এসেছিল এটা। রামায়ণ, মহাভারত দেখে বড় হয়েছি। যখনই দেখেছি কেউ কিছু প্রার্থনা করছেন, তাতে কোনও একজন দেবতা বলছে ‘তথাস্তু’। মানেই সফল হয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই হয়তো এই বিশ্বাসটা হয়েছিল।’
‘তথাস্তু ভগবান’ নাকি কোয়েলের ইচ্ছেপূরণও করেছিলেন। তবে সে ইচ্ছেপূরণের পর আবার নায়িকার নাকি মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তখন একেবারেই ছোট্ট তিনি। ক্লাস ওয়ান অথবা টুয়ের ছাত্রী। কী ছিল সেই ঘটনা? কোয়েল শেয়ার করেছেন, ‘পুজোর আগে একটা চেকলিস্ট তৈরি করতাম প্রত্যেক বছর। কোনও একবার একজন শিক্ষিকার কাছে বকুনি খেয়েছিলাম। দোষটা আমারই ছিল। পরে দেখেছিলাম উনি আসছেন না। মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তারপর একটা শিক্ষা পেয়েছিলাম সেই ক্লাস ওয়ান বা টুতেই। কারও উপর যতই রাগ হোক না কেন, কখনও সেই রাগের মধ্যে খারাপ ভাবতে নেই। কারণ খারাপ যদি হয়, নিজের খারাপ লাগে। আমার লেগেছিল। পৃথিবীতে সকলে নিজেদের মতো করে ভাল আছেন।’
মল্লিক বাড়ির দুর্গাপুজো অত্যন্ত বিখ্যাত। শহর কলকাতা তো বটেই, বিদেশ থেকেও অতিথিরা এই পুজো দেখতে আসেন। সে পুজোর স্মৃতিচারণে কোয়েল বললেন, ‘পুজো বলতেই মনে পড়ে ভোগ বিতরণ। ছোড়দি আমাকে ফ্রকের উপর শাড়ি পরিয়ে দিত। ছোড়দিকে আমি লিপস্টিক পরিয়ে দিতাম। মা আমাকে লিপস্টিক পরতে দিত না। গিন্নি বান্নি হয়ে সেজে পুজো দেখতাম আমরা। বয়স্করা নামতে পারতেন না। আমারা ঘরে ঘরে গিয়ে প্রসাদ দিয়ে আসতাম। অনেক ঘর, অনেক সিঁড়ি আমাদের বাড়িতে। এত কিছুর পরেও এতদিন পরেও কোয়েলের একটা প্রশ্ন, তথাস্তু ভগবান বলে সত্যি কেউ আছে কি?’
আরও পড়ুন, ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে দিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন হেমার পরিবার!
আরও পড়ুন, কম্প্রোমাইজ করেননি বলে কাজ হাতছাড়া হয়েছে, প্রকাশ্যে জানালেন নার্গিস