ভবানীপুরের মল্লিক বাড়ির পুজো। সে পুজো যে বিখ্যাত, তা বাঙালি মাত্রেই জানেন। অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের বাড়ির পুজো। আর গত কয়েক বছর ধরেই আকর্ষণের কেন্দ্রে রঞ্জিতের পাশাপাশি থাকেন তাঁর মেয়ে অর্থাৎ অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। বাড়ির পুজো তো বটেই, কোয়েলের স্মৃতিতে রয়েছে পাড়ার পুজোও। ছোটবেলার সে সব স্মৃতি সোশ্যাল ওয়ালে অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করলেন তিনি।
কোয়েল বলেন, “আমাদের বাড়ির সামনে নর্দান পার্ক। পুজোর পর ভাইবোনেরা মিলে ফুচকা খেতে যেতাম, নাগরদোলা চড়তে যেতাম, অঞ্জলি, আরতির পর দারুণ মজা হত। আমি সবথেকে ছোট ছিলাম। তাই দুধেভাতে ট্রিট করা হত।” একবার নাকি কোয়েলকে না নিয়েই অন্য দাদা, দিদিরা পাড়ার পুজো দেখতে চলে গিয়েছিলেন। প্রথমে কান্নাকাটি করলেও পরে মেজজেঠুর সঙ্গে গিয়ে নাকি ৫০টা ফুচকা খেয়েছিলেন সে দিনের কোয়েল!
“একবার দেখছি সবাই চলে গিয়েছে, আমার তো কী কান্না। উপর থেকে মেজজেঠু নেমে এসেছে বলছে, ‘কী হয়েছে, কোয়েল রানি কাঁদছে কেন’। জানতে পেরেছেন সব দাদা-দিদিরা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে। তখন মেজজেঠু ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে গিয়েছিল। আমি ৫০টা ফুচকা খেয়েছিলাম। কেউ বিশ্বাস করবে না। তবুও বলছি”, শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী।
২০২০-তে দুর্গাপুজো কিছুটা অন্য রকম ছিল। করোনা আতঙ্কের কারণেই বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি বেশিরভাগ মানুষ। ২০২১-এর পুজো আসতে এখনও মাস তিনেক বাকি। এর মধ্যেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল গোটা দেশ। পশ্চিমবঙ্গও বাদ যায়নি। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। মাস্ক পরা, হাত স্যানিটাইজ করা বা সামাজিক দুরত্ব মেনে চলার মতো করোনা স্বাস্থ্যবিধি সব স্তরে মেনে চলার আর্জি জানানো হচ্ছে। ফলে চলতি বছরের পুজোও কতটা স্বাভাবিক থাকবে, তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ সব মহলে। তার মধ্যে কোয়েলের স্মৃতিচারণা নস্ট্যালজিক করে তুলেছে বহু অনুরাগীকে।
আরও পড়ুন, অভিনেতা দেবপ্রতিম দাশগুপ্তের নতুন পরিচয়, কী জানেন?