Mon Patang: ভালবাসাই যখন লোভ-লালসার ফাঁদে, প্রেমদিবসের প্রাককালে এক অন্য সম্পর্কের গল্প
Bengali Film: আশা আর আকাঙ্ক্ষাকে পাখির চোখ করে উড়ে চলে তারা কোন পথে? তবে কি পুড়ে ছাই হয়ে যাবে একদিন এ ভালবাসা?
ধর্মীয় নিগ্রহের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরে পালিয়ে আসা এক হিন্দু-মুসলিম প্রেমিক-প্রেমিকার গল্প। গ্রামের মেঠো পথ থেকে একসঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে শহরে আসা এই জুটির ঠাঁই হয় রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নীচে। সেখানেই গড়ে ওঠে তাদের জীবন ও জীবিকা। ধীরে-ধীরে এই নতুন জীবনের সঙ্গে নিজেদের যখন তারা মানিয়ে নিতে শুরু করে, তখনই তাদের চোখে পড়ে রাস্তার পাশে একটি ঝাঁ চকচকে আসবাবের দোকানে। সেখানে রাখা এক বিশাল আরাম কেদারা। তাদের মনে হয়েছিল ঠিক যেন স্বপ্নের সিংহাসন। মনে মনে শপথ নেয়… একদিন তারা দুজনে একসঙ্গে সেই আসনে বসবে। আশা আর আকাঙ্ক্ষাকে পাখির চোখ করে উড়ে চলে তারা কোন পথে? তবে কি পুড়ে ছাই হয়ে যাবে একদিন? ভাঁটা পড়বে ভালোবাসায়? লোভ, ভয়, ঘৃণা, অহঙ্কার আর সমাজে ধর্মের বৈষম্যের অন্ধকারে হারিয়ে যাবে কি তারা? না কি হারিয়ে যাওয়ার পরেও ফিরে আসবে পুরোনো ছন্দে? বসতে পারবে ভালোবাসার রাজসিংহাসনে?
এমনই গল্পে বাঁধা ‘কালকক্ষ’ খ্যাত পরিচালক জুটি রাজদীপ পাল ও শর্মিষ্ঠা মাইতির আগামী ছবি ‘মন পতঙ্গ’। কালকক্ষ ছবির পর একেবারে ভিন্নধর্মী এই ছবি নিয়ে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব গুলির অভিযানের জন্য তৈরি তাঁরা। আর এর মধ্যেই প্রকাশ পেল ছবির চরিত্রদের প্রথম ঝলক। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস, জয় সেনগুপ্ত, নবাগত শুভংকর মোহন্ত ও বৈশাখী রায়, অমিত সাহা, তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস, জনার্দন ঘোষ, ত্রীবিক্রম ঘোষ, অনিন্দিতা ঘোষ, অনিন্দ্য রায় প্রমুখ। বহু বাস্তব চরিত্রদেরও এই ছবিতে পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে ছবির প্রথম লুক।
ছবি নিয়ে পরিচালক জুটি বলেন, “কালকক্ষ ছবির সঙ্গে এই ছবির কোনও মিল নেই… ‘কালকক্ষ’ অনেক বেশী রূপকধর্মী একটি ছবি, ‘মন পতঙ্গ’ অনেক বেশি জীবন ভিত্তিক, প্রাণবন্ত। ‘মন পতঙ্গ’ এক আকাঙ্খার আখ্যান। ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা এবং সেই স্বপ্নকে চরিতার্থ করার জন্য সবকিছু বাজি রাখার গল্প এই ছবি। অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশনের কর্ণধার, ছবির প্রযোজক অঞ্জন বসু বলেন, ”মন পতঙ্গ’ ছবির কাজ শেষ করেছি আমরা। শীঘ্রই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জন্য আবেদন করতে চলেছি। যদিও ছবিটি বাংলা ভাষায়, কিন্তু ছবির উপস্থাপনা আন্তর্জাতিকমানের হয়েছে বলেই আমার বিশ্বাস। বিশ্বের দরবারে এই ছবি সমাদৃত হোক। আশা করি চলতি বছরের শেষে এই ছবি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারবো আমরা।”