সদ্যোজাতকে দেখতে যাব না, তবে মন থেকে চাইছি নুসরতের সন্তান ভাল থাকুক: নিখিল জৈন
Nusrat Jahan: বিতর্ককে আজ বাদ দিতে চান নিখিল। নতুন মা আর তাঁর সন্তানকে নিখিলের শুভেচ্ছা। ওঁরা ভাল থাকুক--- এই চাইছেন তিনি।
বিবাহিত জীবন উথালপাথাল, তবে নুসরতের এই বিশেষ মুহূর্তে তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন ‘সহবাস সঙ্গী’ নিখিল জৈন। বললেন, “অন্তর থেকে চাইছি বাচ্চাটা ভাল থাকুক”, টিভিনাইন বাংলার কাছে মন উজাড় করলেন তিনি। আর কী কী শোনা গেল তাঁর মুখে?
নিখিলের কথায়, “নতুন জীবনে প্রবেশ করল ও। মা হল নুসরত। সদ্যোজাতকে মন প্রাণ দিয়ে আশীর্বাদ করছি ওকে। খুব ভাল থাকুক।” দেখতে যাবেন মা ও তাঁর সন্তানকে? খানিক থেমে নিখিলের উত্তর, “না দেখতে যাব না। সত্যি কথা বলতে বাচ্চাটিকেও দেখতে চাই না। তার কারণ একটাই, বিগত কিছু মাস ধরে আমার আর নুসরতের মধ্যে দূরত্ব বাচ্চাটির মধ্যে কোনও প্রভাব ফেলুক তা আমি চাই না। তবে আমি যা চাই তা হল বাচ্চাটি খুব ভাল থাকুক। সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি হয়ে উঠুক। আপনাদের মাধ্যমেই ওদেরকে শুভেচ্ছা। ভগবান আমার শুভকামনা বাচ্চাটিকে পৌঁছে দেবে ঠিক।”
২০১৯ সালে তুরস্কে বিয়ে করেছিলেন নুসরত ও নিখিল। সেই বিয়ের সুন্দর নামকরণ করা হয়েছিল – ‘দ্য এন জে অ্যাফেয়ার’। যদিও মাস কয়েক আগে অবনতি ঘটে সম্পর্কের। এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয় নুসরতের তরফে। সেই বিবৃতিতে নুসরত দাবি করেন, আইনগতভাবে নিখিলের সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হননি তিনি। নিখিল তাঁর ‘লিভ-ইন পার্টনার’ ছিলেন। নুসরতের এই বক্তব্যকে ঘিরে তুলকালাম রাজনৈতিক ময়দান থেকে টলিউড। পাল্টা বিবৃতি দেন নিখিলও।
তিনি বলেছিলেন, “রেজিস্ট্রি বিয়ের কথা বারবার বলা সত্বেও নুসরত এড়িয়ে গিয়েছেন।” এখানেই থামেননি নিখিল। একের পর এক অভিযোগের তির ছোঁড়েন অভিনেত্রীর দিকে। যোগ করেছিলেন, “আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে থাকতাম। এবং সমাজেও বিবাহিত হিসেবে আমরা পরিচিত। একজন বিশ্বস্ত স্বামী হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু ২০২০ অগাস্ট মাসের এক শুটিংয়ের পর থেকে তাঁর বৈবাহিক জীবনে পরিবর্তন আসে। এবং তার কারণ তিনিই জানেন।” শেষমেষ গত ৮ মার্চ আলিপুর আদালতে বিয়ে বাতিলের জন্য সিভিল স্যুট দায়ের করা হয় নিখিলের তরফে। সেই মামলা আজও চলছে।
এরই মধ্যে নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই নিখিল জানিয়েছিলেন বাচ্চার বাবা তিনি নন। মাঝে চলেছে ট্রোলিং, একের পর এক নানা মন্তব্য। প্রশ্ন উঠেছিল জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছিল এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
তবে এই সব প্রশ্ন, বিতর্ককে আজ বাদ দিতে চান নিখিল। নতুন মা আর তাঁর সন্তানকে নিখিলের শুভেচ্ছা। ওঁরা ভাল থাকুক— এই চাইছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মেঘলা দুপুরে শহরের হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হল নুসরতের সন্তান
আরও পড়ুন: কাছে থাকলে তোমাকে জড়িয়ে ধরতাম: নুসরতের মা হওয়ার আনন্দে ‘বনুয়া’ মিমি