সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠিকাছে মাস কয়েক আগেই। নুসরত জানিয়েছেন নিখিন জৈন তাঁর স্বামী নন, আইনত নিয়ে হয়নি তাঁদের। নিখিলের সঙ্গে লিভইন অর্থাৎ সহবাস করছিলেন তিনি। কথা বন্ধ দু’জনের। অন্তঃসত্ত্বা নুসরতের দিনযাপন করছেন নিজের মতো। এরই মধ্যে নুসরত এবং নিখিলের প্রায় পর পর দুই পোস্টের ক্যাপশন ঘিরে নেটিজেনদের মধ্যে চলছে একরাশ জল্পনা। কেউ বলছেন পরোক্ষে নুসরতকে নাকি কটাক্ষ করেছেন নিখিল। কী হয়েছে?
একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন নুসরত। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “কিছু মানুষদের দিকে সার ছুঁড়ে দিচ্ছি যাতে তাঁরা সঠিক ভাবে বেড়ে উঠতে পারে।” এর পরেই কিছুক্ষণ পর একটি পোস্ট করেন নিখিল। নুসরতের মতো তিনিও নিজের ছবি পোস্ট করে লেখেন, “নিজের মনকে খাবার দাও। নিজের আত্মার বিকাশ ঘটাও।” নেহাতই কাকতালীয় নাকি নিখিলের পাল্টা, প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছেন না নেটিজেনরা।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জৈন জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের বিশেষ সম্পর্কের কারণেই নাকি নিখিলের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে ভাঙন ধরে, এ জল্পনাও বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে মুখ খোলেননি নুসরত। এমনকি তাঁর সন্তানের বাবা কে, তা নিয়েও কাউকে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেননি। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যত জটিল হয়েছে ইনস্টায় একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত। পিছিয়ে রইলেন না নিখিলও।
আরও পড়ুন-জীবন-যুদ্ধে একটা হাত লাগে, তিয়াসাকে সেই হাতটা বাড়িয়েছিলাম আমিই: সুবান রায়