Nikhil-Nusrat Case: নিখিল নুসরতের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত, মামলায় জিতলেন নিখিল

Nikhil Jain: কাকতালীয় ভাবে আজই (১৭.১১.২০২১) নিখিল জৈনের জন্মদিন। TV9 বাংলাকে নিখিল জানিয়েছেন, "এটা আমার জন্মদিনের সবচেয়ে বড় উপহার। আমি আর এর মধ্যে থাকতে চাই না।"

Nikhil-Nusrat Case: নিখিল নুসরতের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত, মামলায় জিতলেন নিখিল
নিখিল জৈন ও নুসরত জাহান
Follow Us:
| Updated on: Nov 17, 2021 | 7:44 PM

কলকাতা: অ্যানালমেন্ট অফ ম্যারেজ নিয়ে একটি মামলা করেছিলেন নুসরতের ‘স্বামী’ নিখিল জৈন। সেই মামলায় জিতেছেন তিনি। TV9 বাংলাকে এক্সক্লুসিভলি জানালেন নিখিলের আইনজীবী সত্যব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, “নিখিলের পক্ষে বিচারপতি রায় দিয়েছেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে নিখিল যে মামলাটা ফাইল করেছিল, সেই মামলার শুনানি চলছিল। পুজোর ছুটির আগে শেষ শুনানি হয়। গতকাল (১৬.১১.২০২১) ছিল অর্ডার। আজ (১৭.১১.২০২১) রায় পেয়েছি। সেখানে নিখিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন বিচারক। পরে নিখিলের সুরে সুরে কথা বলে নুসরত। তবে অনেক পরে এসে বিবৃতি দিয়েছিলেন নুসরত।”

সত্যব্রত এও বলেছেন, “আইনত স্ত্রী হলে খোরপোশ দাবি করতে পারতেন নুসরত। কিন্তু যেহেতু নুসরত আইনত নিখিলের স্ত্রী নন, তাই কোনওরকম খোরপোশ তিনি দাবি করতে পারবেন না।”

কাকতালীয় ভাবে আজই (১৭.১১.২০২১) নিখিল জৈনের জন্মদিন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে TV9 বাংলা। নিখিল বলেছেন, “আজ মামলার রায় বেরিয়েছে। আমি যা মামলা করেছিলাম, ওটা আমার পক্ষে দেওয়া হয়েছে। আমি ও নুসরত, আমরা দু’জনেই অনেককিছু বলেছিলাম আদালতে। আদালত দু’জনের বক্তব্য শুনে বলেছে, আমি যা মামলা ফাইল করেছিলাম, সেটা ঠিক আছে। নাল অ্যান্ড ভয়েড করার জন্যই আমি মামলাটা করেছিলাম। বিয়েটা অ্যানালড করা হয়েছে। এটা আমার জন্মদিনের সবচেয়ে বড় উপহার। আমি তো এর মধ্যে থাকতে চাই না। নুসরতের রেসপন্স জটিলতম ছিল। ওর লিগলটা ঠিক কী তা আমি জানি না।”

তুরস্কে ‘বিয়ে’ করেছিলেন নিখিল-নুসরত। সেই ‘ইন্টারফেথ’ বিয়েকে ভারতে মান্যতা দেওয়া ছিল বাধ্যমূলক। নিখিলের বিবৃতিতে তাঁর দাবি অনুযায়ী, নুসরত নাকি ভারতে বিয়েকে মান্যতা দিতে রাজি ছিলেন না। ফলে তিনি ‘অ্যানালমেন্ট অফ ম্যারেজ’ মামলা করে আলিপুর আদালতে। নিখিলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে নুসরত যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে তিনি দাবি করেছিলেনন, “আমার আইনত বিয়ে হয়নি। তাই বিবাহবিচ্ছেদের প্রশ্ন উঠেছে না। আমরা অনেকদিন ধরেই আলাদা থাকছি।”

অভিনেত্রী তথা সাংসদ আরও জানিয়েছেন, তাঁর এবং নিখিলের তুরস্কে বিয়ে হয়েছিল, সে দেশের নিয়ম মেনে। যা ভারতীয় আইনের স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টের আওতায় পড়ে না। আর দুটি আলাদা ধর্মে বিয়ে হওয়ায় ভারতে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টেই বিয়ের মান্যতা পাওয়া সম্ভব। নুসরতের দাবি, আদালতের বিচারে নাকি এটা বিয়ে নয়। বরং সম্পর্ক, লিভটি ইন সম্পর্ক। সে কারণেই দাম্পত্য বিচ্ছেদের কোনও প্রশ্ন ওঠে না বলে দাবি করেছিলেন নায়িকা।

নুসরতের কথায়, “অনেকদিন আগে আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছি। আমি এটা নিয়ে কথা বলিনি। কারণ ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছি। সুতরাং আমার কোনও কাজ সেপারেশনের নিরিখে প্রশ্ন করা উচিত নয়। আইনের চোখে আমাদের বিয়েই হয়নি।”

জন-প্রতিনিধি হিসেবে কি মিথ্যাচার করেছেন নুসরত? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। নুসরতের বিবৃতির পর পাল্টা মুখ খুলে সেই বিতর্কই কার্যত উস্কে দিয়েছেন নিখিল। বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে নিখিল দাবি করেছিলেন, “রেজিস্ট্রি বিয়ের কথা বারবার বলা সত্বেও নুসরত এড়িয়ে গিয়েছেন।”

নিখিল বিবৃতিতে দাবি করেছেন, “আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে থাকতাম। এবং সমাজেও বিবাহিত হিসেবে আমরা পরিচিত। একজন বিশ্বস্ত স্বামী হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু ২০২০ অগাস্ট মাসের এক শুটিংয়ের পর থেকে তাঁর বৈবাহিক জীবনে পরিবর্তন আসে। এবং তার কারণ তিনিই জানেন।”

আরও পড়ুন: নুসরতের মা হওয়ার দিনেই নিখিল-যশের পোস্টে এই অদ্ভুত মিল নেটিজেনদের চোখ এড়াল না!

আরও পড়ুন: “আমি প্রতারিত,” নুসরতের পাল্টা বিবৃতিতে বললেন নিখিল জৈন; ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে থাকতেন’ তাঁরা