Abhijaan Controversy: ছবিতে যা আছে, সেটাকে প্রশ্ন করা মানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দিকেও আঙুল তোলা: পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
Parambrata Chattopadhyay-Soumitra Chattopadhyay: "যাঁকে নিয়ে ছবি, তিনি যখন নিজে অনুমোদন দিচ্ছেন, নিজে যখন অভিনয় করছেন, তখন নির্মাতা হিসেবে কোনও বৈধতার আমাদের দরকার নেই", বলেছেন পরমব্রত।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বায়োপিক ‘অভিযান’ নিয়ে তোলপাড় নেটপাড়া। সোমবার (১৮.০৪.২০২২) সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী বসু। সেখানে তিনি নিজস্ব কিছু মতামত প্রকাশ করেছেন বাবার জীবন নির্ভর ছবিকে কেন্দ্র করে। হতাশ ও বিরক্ত হয়েছেন পৌলমী। সরাসরি আক্রমণ করেছেন পরিচালক পরমব্রতকেও। তিনি নিজেও এই প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন, “বাপি তাতে অভিনয় করে আমার হাত বেঁধে দিয়েছেন।” এসব দেখেশুনে কী বক্তব্য পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের?
TV9 বাংলাকে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন:
“আমার প্রথমে শুনে খুবই অবাক লেগেছে। কিছুটা সারপ্রাইজ়ডই হয়েছি। কারণ পৌলমীদির সঙ্গে আমার সুন্দর সম্পর্ক। সে সবের ঊর্ধ্বে উঠে বলি, ছবিটি নির্মিত হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। ছবিটি অন্য কাউকে নিয়ে নয়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে তাঁর জীবনের দর্শনকে ধরার চেষ্টা করেছি। সেটা করতে গিয়ে ছবিতে যে সব ঘটনাকে আনার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছি, সেটুকু এনেছি। সেটার টাইম প্রেজ়েন্টে হোক কিংবা ফ্ল্যাশব্যাকে।
এবার যেটা দরকার ছিল, যাঁকে নিয়ে ছবি তাঁর অনুমোদন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ছবি ফলত তাঁর অনুমোদনই প্রয়োজন ছিল। উনি সোৎসাহে এই ছবিতে, এই চিত্রনাট্যে অনুমোদন বা অনুমতি তো দিয়েই ছিলেন, অত্যন্ত আনন্দ করে এই ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। এর উপরে আর কোনও বৈধতার প্রশ্ন উঠছে না। যাঁকে নিয়ে ছবি, তিনি যখন নিজে অনুমোদন দিচ্ছেন, নিজে যখন অভিনয় করছেন, তখন নির্মাতা হিসেবে কোনও বৈধতার আমাদের দরকার নেই। তাই না? কারও খারাপ লেগে থাকলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু আমি তো আমার শৈল্পিক স্বাধীনতা অনুযায়ী চিত্রনাট্য সাজিয়েছি এবং আমার অনুমতি নেওয়ার দরকার ছিল, অংশগ্রহণ দরকার ছিল এক এবং একমাত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। সেটা আমার কাছে পুরোদস্তুর ছিল এবং আছে।
এরপর বাকিটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা তো কত লোকের মনে হতে পারে – এটা নেই কেন? ওটা নেই কেন? প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত থাকবেই। এখন যা ছবিতে আছে, সেটাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, তা হলে আমাকে নয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দিকেও আঙুল তুলতে হবে। কারণ ওটা ওঁর অনুমোদিত চিত্রনাট্য। এবং ওঁর অভিনীত চিত্রনাট্য। সেটা মনে হয় এই সময় দাঁড়িয়ে উনি ডিসার্ভ করেন না। তাই বলছি, এগুলো নিয়ে শুধু-শুধু ওঁকেই আমরা আরও বেশি কষ্ট দিচ্ছি।”
তবে পৌলমী বসু কেন লিখতে গেলেন এসব কথা?
উত্তরে পরমব্রত বলেছেন, “আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়ে একেবারেই ঢুকব না। আমি ঢুকতে চাই না। আমার কোনও অভিপ্রায় নেই। কাজেই এই উত্তরটা আমি দিতে পারব না। উনি (পড়ুন সৌমিত্রকন্যা পৌলমী বসু) কেন লিখেছেন, কারণ হয়তো ওঁর মনে হয়েছে। আর সেটা এতদিন পরে মনে হয়েছে… আমি আবারও বলছি, আমার বা আমাদের কিছু করণীয় নেই। দুর্ভাগ্যবশত, যাঁকে উনি জিজ্ঞেস করতে পারতেন তিনি আমাদের মধ্যে নেই।”
TV9 বাংলাকে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার পর পরমব্রত ফেসবুকে লেখেন…
*পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পর TV9 বাংলার প্রতিনিধি সরাসরি যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী বসুর সঙ্গে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।