ফিয়ার। ইংরেজির ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এর অভিঘাত অনেক বড়। ভয়ের অর্থ এক একজনের কাছে এক এক রকম। অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরত জাহানও এই শব্দের দুটি অর্থ মেনে চলেন। সোশ্যাল পোস্টে তেমন ইঙ্গিত দিলেন নুসরত।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নুসরত লিখেছেন, ফিয়ার শব্দের দুটো মানে। এক, ফরগেট এভরিথিং অ্যান্ড রান। অর্থাৎ সব কিছু ভুলে দৌড়তে থাকো। দুই, ফেস এভরিথিং অ্যান্ড রাইজ। অর্থাৎ সব কিছুর মুখোমুখি হও এবং উন্নতি করো।
জীবনের এক বিশেষ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন নুসরত। মা হতে চলেছেন। সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই মা হবেন তিনি। পরিবারে নতুন অতিথিকে স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছেন। কিন্তু বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ছে না। সে কারণেই হয়তো সব ভুলে নতুন করে শুরু করতে চাইছেন। অথবা সব কিছুর সোজাসুজি উত্তর দিয়ে জীবনে আরও এগিয়ে যেতে চাইছেন। তবে কোনটা তিনি নিজে করতে চান, তা স্পষ্ট করে জানাননি। এই বার্তা বিশেষ কারও উদ্দেশে দেওয়া কি না, তাও স্পষ্ট নয়।
নুসরতের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জৈন জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের বিশেষ সম্পর্কের কারণেই নাকি নিখিলের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে ভাঙন ধরে, এ জল্পনাও বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে মুখ খোলেননি নুসরত। এমনকি তাঁর সন্তানের বাবা কে, তা নিয়েও কাউকে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেননি। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যত জটিল হয়েছে ইনস্টায় একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হল না।
আরও পড়ুন, ‘পর্ন চক্রের শিকার হওয়া মহিলাদের বিচার চাই’, বললেন শার্লিন