আজ বন্ধুত্বের দিন। বন্ধুকে ভালবাসা উজাড় করার দিন। অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানের পোস্টেও আজ তাই নিঃস্বার্থ ভালবাসার কথা। যশের পোষ্যর সঙ্গে ছবি পোস্ট আর বড়সড় ক্যাপশনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রেন্ডশিপ ডে পালন তাঁর।
কালো সানগ্লাস, কালো পোশাক, সঙ্গে প্রিয় পোষ্য। নুসরত লিখছেন, “এমন একটা হৃদয় যে তোমায় কোনও কিছু পাওয়ার জন্য ভালবাসে না তা খুঁজে পাওয়া কত সুন্দর তাই না? নিঃস্বার্থ ভালবাসা সবসময় দামী। গর্ব তা ছুঁতে পাড়ে না, ভয় তা বুঝতে পাড়ে না… শুধু স্বার্থহীন বন্ধুই পারে। এই স্বার্থপর দুনিয়ায় এক স্বার্থহীন বন্ধু পাওয়া আশীর্বাদের সমান। সবাইকে শুভ বন্ধুত্ব দিবস।” স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে, সেই বন্ধুর খোঁজ কি নুসরত পেয়েছেন? উত্তর হয়তো ‘হ্যাঁ’। মাতৃত্ব যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন যশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে আর লুকোছাপা করতে চাইছেন না নুসরত। ইনস্টাগ্রামেই চলছে মেসেজের আদানপ্রদান। একদিকে নুসরত যখন আজ নিঃস্বার্থ ভালবাসার কথা ব্যক্ত করছেন অন্যদিকে মিমি তখন তাঁর ইনস্টাগ্রামে বোনুয়ার ছবি পোস্ট করে ফ্রেন্ডশিপ ডে’র শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নুসরতের পোস্টে অবশ্য দেখা মেলেনি তাঁর ‘বোনুয়ার’।
অন্তঃসত্ত্বা নুসরত এখন নিজের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। কখনও পছন্দের সিনেমা দেখছেন। কখনও উইকেন্ডে বাড়ির বাইরে বেড়াতে যাচ্ছেন। কখনও বা ওয়ার্ক কমিটমেন্টের খাতিরে ফটোশুটও সেরে নিচ্ছেন। অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের পোষ্যের ছবিও তাঁর ইনস্টা স্টোরিতে মাঝেমধ্যেই দেখা যায়। নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জৈন জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের বিশেষ সম্পর্কের কারণেই নাকি নিখিলের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে ভাঙন ধরে, এ জল্পনাও বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে মুখ খোলেননি নুসরত। এমনকি তাঁর সন্তানের বাবা কে, তা নিয়েও কাউকে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেননি। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যত জটিল হয়েছে ইনস্টায় একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত।