মহানবমীতে তাক লাগিয়ে দিলেন নুসরত জাহান। পরেছিলেন শাড়ি, সঙ্গে মানানসই গয়না। দুই ভুরুর মাঝে লাল টিপে তিনি ছিলেন নজরকাড়া। কিন্তু লাইমলাইট কেড়ে নিল দুই হাতে দুই জোড়া শাঁখা ও পলা। জন্ম দিল অনেক প্রশ্নের। শুনতে হল কটাক্ষ। নুসরতের অবশ্য তাতেই থোড়াই কেয়ার।
নুসরতের ইনস্টা খেয়াল করলেই দেখা যাবে। বেশ কয়েকটি ছবি আপলোড করেছেন তিনি। জানিয়েছেন নবমীর শুভেচ্ছা। ওই একই সময়ে ইনস্টায় ছবি পোস্ট করেছেন যশও।
গত রবিবার জন্মদিন ছিল যশের। শনিবার রাতেই ভালবাসার ইমোজি দিয়ে যশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন নুসরত। কিন্তু রবিবার রাত বাড়তেই এক দোতলা কেকের ছবি শেয়ার করেন নুসরত। সেই কেকে লেখা যশের আদ্যাক্ষর ওয়াই ও ডি। এখানেই শেষ নয়, লেখা ‘হাজব্যান্ড’। তার নিচে লেখা ‘ড্যাড’। যশ বাবা হয়েছেন কিছু দিন আগে। ছেলে ঈশানের জন্মের শংসাপত্রে তাঁরই নাম। কিন্তু ‘স্বামী’? প্রশ্ন উঠেছে তবে কি চুপিসারেই বিয়ে করে নিয়েছেন নুসরত ও তিনি?
এখানেই শেষ নয়, যশের প্রতি ভালবাসার গোপন ইজহারও করেছেন তিনি। লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন ভালবাসা’। সব মিলিয়ে প্রকাশ্যেই উথলে উঠেছিল প্রেম। যে প্রেম সমালোচনার ধার ধারে না। এবার পরলেন শাঁখা-পলা। কীসের ইঙ্গিত দিলেন তিনি?
গত ২৬ অগস্ট, মাদার টেরেসার জন্মদিনের দিনই, পার্ক-স্ট্রিটের একটি হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন নুসরত। সন্তানের নাম রাখেন ‘ঈশান’। যার ইংরেজি বানান ‘Yishaan’। নুসরতের ডেলিভারি পর্বে সারাক্ষণ অভিনেতা যশ তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন। তাঁকে তিনিই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে। সন্তান জন্মানোর পর যশ জানিয়েছিলেন, নুসরত ও সদ্যোজাত ভাল আছে।
হাসপাতালে ছিলেন নুসরতের পরিবারের সদস্যরাও। ঈশানের জন্মের শংসাপত্র দিন কয়েক আগেই প্রকাশ্যে আসে। সেখানেও বাবার নামের জায়গায় লেখা ছিল যশ দাশগুপ্তর নাম। নুসরত মা হওয়ার পর তাঁকে অভিনন্দন জানাতে পিছপা হননি ‘সহবাস সঙ্গী’ নিখিল জৈন। নুসরতের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। মা এবং সন্তানকে তিনি দেখতে যাবেন না বলেছেন ঠিকই, কিন্তু নুসরতের সন্তানের মঙ্গল কামনা করেছেন নিখিল।
এর আগে নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জৈন জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন।
আরও পড়ুন, Durga Puja 2021: দুর্গাপুজো আমার জীবনের অনেক কিছুরই প্রথম: সৌরভ সাহা