কখনও তিনি স্পিরিচুয়াল গুরু গৌর গোপাল দাসের অনুপ্রেরণামূলক ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলছেন, ‘মনের ভিতরে কারও প্রতি নেতিবাচক চিন্তা থেকে থাকলে সেগুলো মুক্ত করে দাও। কারণ এটা নয় যে তাঁরা এটার যোগ্য, কারণ হল তোমার শান্তি প্রয়োজন’। আবার কখনও নুসরত জাহান ক্যাপশনে লিখছেন, “নিজেকে ভাল রাখার শক্তি তোমার কাছেই রয়েছে”। যদিও সংবাদমাধ্যমের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরে একেবারে চুপ তিনি।
আপাতত নুসরত শুটিংয়ে ব্যস্ত। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করছেন ইনস্টা রিলে আবার কখনও কোনও ফিল্টার ছাড়াই ছবি পোস্ট করছেন। তবে সে সবের মাঝে একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্টও রয়েছে। তাঁর ফ্যান পেজ থেকে পোস্ট করা এক ভিডিয়ো নিজের রিলে শেয়ার করলেন সাংসদ-অভিনেত্রী। এবং সে পোস্ট ঘিরে শুরু হল এক নতুন জল্পনা। ভিডিয়োতে লেখা রয়েছে কিছু কথা। ‘যখন তোমাকে ভালবাসতে শুরু করলাম, বুঝতে পারি আমি কোনওদিনও কাউকে এতটা ভালবাসিনি।’। তবে কাকে এ ভালবাসার কথা জানাচ্ছেম নুসরত রুহি জাহান। না, সে ব্যাপারে কোনও কিছুই স্পষ্ট করে বলেননি অভিনেত্রী।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।