জানুয়ারির পয়লা তারিখেই মুক্তি পেয়েছিল বাংলা ছবি ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’। ছবিতে মুখোমুখি ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ছিলেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ও রুদ্রনীল ঘোষ। হল খোলার পর বক্স অফিসে আশানুরূপ ফল করেছিল সপ্তাশ্ব বসু পরিচালিত ছবিটি। মার্চ মাস পর্যন্ত চলেছিল হলে। তাই হল রিলিজকে মাথায় রেখেই আরও একটি বাংলা ছবি তৈরি করতে চলেছেন পরিচালক। সারাদেশের হলে মুক্তির কথা মাথায় রেখেই তৈরি করতে চলেছেন একটি হরর মিস্ট্রি ছবি ‘জতুগৃহ’।
এই নামকরণের সঙ্গে মহাকাব্য ‘মহাভারত’-এর যোগ আছে। কিন্তু পরিচালকের বক্তব্য, কেবল নামেই মিল। গল্পের সঙ্গে মহাকাব্যের কোনও যোগসূত্র নেই। চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে একটি পাহাড়ি শহরকে কেন্দ্র করে। নতুন ধরনের বাংলা ছবি দর্শককে উপহার দিতে চলেছেন সপ্তাশ্ব। তাক লাগানো স্টারকাস্ট। রয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, বনি সেনগুপ্ত এবং বাংলা টেলিজগতের জনপ্রিয় ‘হিয়া’ (ধারাবাহিকের নাম ‘এখানে আকাশ নীল’), অর্থাত্ অভিনেত্রী অনামিকা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন : ভিডিয়ো কলে কমল কাঁটাতারের দূরত্ব, স্ত্রী মিথিলাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা সৃজিতের
ছবির পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন পরমব্রত। তবে এই মুহূর্তে তিনি করোনা সংক্রান্ত নানা কাজে নিজেকে ব্য়স্ত রেখেছেন। ফলে সপ্তাশ্বই TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন, “পরমব্রতর চরিত্রটা একেবারে অন্যরকম। তিনি একটি চার্চের প্রিস্ট। ছবিতে তাঁর বয়স ২০ বছর বাড়ানো হয়েছে। সম্পূর্ণ নতুন চেহারা দেওয়া হয়েছে পরমব্রতকে। ৬০ বছর বয়সি এক যাজকের। সে জন্য প্রস্থেটিক মেকআপের সাহায্য নিতে হবে। পরমব্রতর সাজপোশাক, চুল, চোখের মণির রং – সবকিছু নিয়েই এক্সপেরিমেন্ট করা হচ্ছে। এই পরমব্রতকে আগে দর্শক দেখেননি। চরিত্রে নাম জোসেফ।”
অন্যদিকে বনি ও অনামিকা সম্পর্কে পরিচালক বলেন, “পরমব্রত ও বনি দু’জনের চরিত্রই সমান গুরুত্বপূর্ণ। বনির চরিত্রের নাম রেহান। চরিত্রটি এক শহুরে যুবকের। পাহাড়ে হোটেল ম্যানেজারের চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছে সে। আর অনামিকা স্থানীয় বাসিন্দা। চরিত্রের নাম মেঘনা। সে একদিন সেই হোটেলে আসে। রেহানের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। কিন্তু রেহান বারবারই রহস্যময় কিছুর উপস্থিতি অনুভব করতে থাকে তার চারপাশে। ফাদার জোসেফ ও রেহান সেই রহস্য উদ্ঘাটনে তত্পর হয়ে ওঠে।”
এই অতিমারী পরিস্থিতিতে শুটিং শুরু করার বিষয়টি নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে সব ঠিক থাকলে জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুটিং শুরু হবে কার্শিয়ং, তাখদাহ, কালিম্পং, শিলিগুড়িতে। ছবির মূল গল্প অর্ণব ভৌমিকের। প্রযোজনা করেছেন রক্তিম চট্টোপাধ্যায়।