কর্মসূত্রে তাঁরা দুজনেই ভয়ঙ্কর ব্যস্ত। একসঙ্গে থাকার সুযোগ হয় না সব সময়। কিন্তু যতটুকু সময় একে অপরের সঙ্গে থাকতে পারেন, এক মুহূর্তও এনজয় করতে পিছ পা হন না। তাঁরা অর্থাৎ পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী তথা অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। আজ বৃহস্পতিবার সৃজিতের জন্মদিন। বার্থডে বয়ের জন্য স্পেশ্যাল সেলিব্রেশনের আয়োজন করেছিলেন মিথিলা।
গতকাল মধ্যরাত থেকেই শুরু হয় সেলিব্রেশন। এই মুহূর্তে কাজের জন্য টানা মুম্বইতে থাকতে হচ্ছে সৃজিতকে। মিথিলা এবং তাঁর কন্যা আয়রা মাঝেমধ্যেই সেখানে পরিচালককে সঙ্গ দিতে পৌঁছে যাচ্ছেন। আর জন্মদিনে আলাদা সেলিব্রেশন হবে এ তো স্বাভাবিক।
‘হ্যাপি বার্থডে আব্বু ফ্রম আয়রা’ লেখা একটি চমৎকার কেক কেটে জন্মদিন শুরু করেন সৃজিত। আয়রাকে সঙ্গে নিয়েই কেক কাটেন তিনি। সে সময় ক্যামেরার পিছনে ভিডিয়ো করতে ব্যস্ত ছিলেন মিথিলা। মুম্বইয়ের নামী হোটেলে মিথিলা এবং আয়রাকে নিয়ে ফ্যামিলি ডিনার করে জন্মদিন শুরু করেন সৃজিত।
মিথিলার তরফে উপহারের পালা এখানেই শেষ নয়। শাফিন আহমেদের ‘আজ তোমার জন্মদিন’ গানটির ভিডিয়ো ফেসবুকে শেয়ার করেন মিথিলা। ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় জন্মদিন সঙ্গীত জন্মদিনে তোমাকে উৎসর্গ করলাম সৃজিত।’ ভার্চুয়ালি ইন্ডাস্ট্রির সদস্যরা তো বটেই বহু অনুরাগীও সৃজিতকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আয়রা মিথিলা এবং সঙ্গীতশিল্পী তাহসানের কন্যা। মিথিলা এবং তাহসানের দাম্পত্য বিচ্ছেদ হয়ে যায়। পরে সৃজিতকে বিয়ে করেন মিথিলা। কিন্তু আয়রার সঙ্গে তাহসানের যেমন অসাধারণ সম্পর্ক, তেমনই সৃজিতও তার আব্বু। সৃজিতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এই স্টার কিডের।
দিন কয়েক আগে একত্রে একটি পেশাদার কাজ করায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয় তাহসান-মিথিলাকে। মিথিলা সে সময় জানান, প্রাপ্তবয়স্ক দুজন মানুষ একসঙ্গে কাজ করতেই পারেন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে মানে কখনও একসঙ্গে কাজ করা যাবে না, তা নয়। পাশাপাশি তিনি এবং তাহসান আয়রার বাবা, মা। তাই মেয়ের কথা ভেবেও তাঁরা নিজেদের সম্পর্ক তিক্ত করতে চান না। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলে তবেই আয়রাকে সুস্থ শৈশব দেওয়া যাবে বলে মনে করেন মিথিলা।
বাংলাদেশে থাকলে আয়রা কখনও মায়ের কাছে, কখনও বা বাবার কাছে থাকে। এ নিয়ে তাঁদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ট্রোলিংয়ের শিকার যাতে না হতে হয়, তার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এখন আর সকলের কমেন্ট করার অধিকার নেই। বাবা, মেয়ের আনন্দের মুহূর্তে মাও ভাগীদার হবেন, হোক তা ভার্চুয়াল, এটাই তো স্বাভাবিক। আয়রা মূলত মিথিলার কাছেই থাকে। বাংলাদেশে মিথিলা গেলে আয়রা সঙ্গী হয়। আবার মিথিলা কলকাতায় থাকলে মেয়ে তার সঙ্গেই থাকে।
আপাতত আয়রা কলকাতার একটি স্কুলের ছাত্রী। পড়াশোনার স্বার্থে ভবিষ্যতে সে কোথায় থাকবে, সেটাই এখন দেখার। মিথিলা সদ্য ভারতে তাঁর প্রথম ছবির কাজ শেষ করলেন। রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘মায়া’ ছবিতে দেখা যাবে মিথিলার অভিনয়। রাজর্ষির এই ছবির বিষয় শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ। সদ্য এই ছবির লোগো প্রকাশিত হল। বাংলাদেশে মিথিলার অভিনয় দেখেছেন দর্শক। কিন্তু এ পার বাংলায় এই প্রথম। ফলে মিথিলার জন্যও এই প্রজেক্ট নিঃসন্দেহে খুব স্পেশ্যাল।
আরও পড়ুন, Aparajita Adhya: ‘প্রাক্তন’-এর স্মৃতিতে বিভোর অপরাজিতা আঢ্য!