Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রাহুলকে ছবি তোলার প্রস্তাব দিয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে শুটের ‘আবদার’! বিরক্ত অভিনেতা

বিবাহিত সম্পর্কে বেশ কিছু সমস্যার জন্য রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আলাদা থাকেন বহুদিন। তাঁদের এক সন্তান সহজ মূলত মায়ের সঙ্গে থাকলেও বাবার সঙ্গেও তার বেশ সখ্য। ছুটির দিনে একসঙ্গে অবসার যাপন থেকে আবদার-- চলে প্রতিমুহূর্তে।

রাহুলকে ছবি তোলার প্রস্তাব দিয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে শুটের 'আবদার'! বিরক্ত অভিনেতা
রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 7:37 PM

প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে আলাদা থাকেন বহুদিন– সুসম্পর্ক রয়েছে ঠিকই তবে বৈবাহিক জীবনে দাঁড়ি পড়েছে বেশ কয়েক বছর। তা সত্ত্বেও রাহুলকে ছবি তোলার প্রস্তাব দেওয়ার পরেও প্রিয়াঙ্কা সরকারকে দিয়ে শাড়ি শুটের অনৈতিক আবদারে জনৈক ফটোগ্রাফারের উপর বিরক্ত রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেই ছবিয়ালের নাম শান্তনু। রাহুলের পোস্ট থেকেই জানা যাচ্ছে সম্প্রতি পরিচালক রাজর্ষি দে’র মায়া ছবির ফটোশুটের দৌলতেই তাঁর সঙ্গে আলাপ রাহুলের। রাহুল লিখছেন, “ফটোশুট একেবারেই পছন্দ করি না,নেহাত কাজের জন্য যতটুকু লাগে,ততটুকুই…কিন্তু আজকাল ইনস্টা করছি বলে রাজি হই | ভাবি ছেলেটির উপকার হবে,আমারও কিছু ছবি তোলা হবে।”

কিন্তু এর পরেই সেই ব্যক্তি রাহুলকে ফোন করে প্রিয়াঙ্কাকে পাওয়া যাবে কিনা। যদি পাওয়া যায় তাহলে তাঁকে দিয়ে এক শাড়ি শুটের ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। আর এখানেই আপত্তি রাহুলের। রাহুল লিখেছেন, “আমি কিছুক্ষন হতবাক হয়ে যাই,আমার আর প্রিয়াঙ্কার ছাড়াছাড়ি হয়েছে আধ দশক হয়ে গেছে,যা মিডিয়ার কল্যাণে সবাই জানে|আর যদি একসাথে থাকিও তাহলেও নবাব কিনলে আরাম ফ্রি নয়।” তিনি আরও জানান, প্রত্যেকেই নিজের নিজের জায়গায় প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা দুজনে স্বতন্ত্র ব্যক্তি তাই ওই ফটোগ্রাফার রাহুলের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে প্রকাশ করে প্রিয়াঙ্কাকে দিয়ে কাজ করানোর ইচ্ছেও রাহুল মারফৎ পৌঁছে দেওয়ার বাসনা সামনে আনতেই কার্যত বিরক্ত তিনি। তাঁর স্পষ্ট উত্তর, “কোনও ফটোগ্রাফার যদি আমার সাথে(এবং শুধু আমার সাথে) কাজ করতে আগ্রহী হন জানাবেন…”।

রাহুলের এই কড়া বার্তার সমর্থনে করেছেন সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেকেই। শ্রীজাত লিখেছেন, “দুটো মানুষ আলাদাই, সে তারা একসঙ্গে থাকুক আর না থাকুক। এই স্বাতন্ত্র্যের বোধ আমাদের কবে হবে কে জানে”। অন্যদিকে রাহুলের কাছের বন্ধুর ঋত্বিক চক্রবর্তী আবার সুকুমার রায়ের গোঁফচুরি কবিতার দুই লাইন তুলে ধরে বলেছেন, “স্যার তো কবেই বলেছেন,কাউকে বেশি লাই দিতে নেই সবাই চড়ে মাথায়”। যদিও সেই ছবিওয়ালা এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

বিবাহিত সম্পর্কে বেশ কিছু সমস্যার জন্য রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আলাদা থাকেন বহুদিন। তাঁদের এক সন্তান সহজ মূলত মায়ের সঙ্গে থাকলেও বাবার সঙ্গেও তার বেশ সখ্য। ছুটির দিনে একসঙ্গে অবসার যাপন থেকে আবদার– চলে প্রতিমুহূর্তে। নিজের সম্পর্কের টানাপড়েন সন্তানের মধ্যে কোনও প্রভাব ফেলুক তা প্রথম থেকেই চাননি ওই জুটি। বর্তমানে বেশ কিছু ছবির কাজে ব্যস্ত প্রিয়াঙ্কা। অন্যদিকে রাহুলের হাতে ছবির কাজ ছাড়াও রয়েছে মেগার কাজ। ধারাবাহিক দেশের মাটিতে এক গুরত্বপূর্ণ চরিত্র অভিনয় করছেন রাহুল। চরিত্রের নাম রাজা। তবে কর্মক্ষেত্রে এ হেন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়ে তিনি যে বেশ হতাশ তা বলে দিচ্ছে তাঁর ফেসবুক পোস্ট।