বাবা এবং ছেলের পরমে একই রকমের পাঞ্জাবি। আর মা পরেছেন গোল্ডেন রঙা শাড়ি। লাল ব্লাউজ, টিপ, সোনার গয়নায় সেজেছেন তিনি। এই পরিবারকে আপনি চেনেন। পরিচালক, প্রযোজক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁদের একমাত্র পুত্র ইউভান। এ দিনের সেরা আকর্ষণ ছিল ইউভানের ঢাক বাজানো।
সপরিবারে অষ্টমী পুজোয় অংশ নিয়েছেন রাজ-শুভশ্রী। ইউভানের নানা মুহূর্তের ভিডিয়ো তিনি প্রায়ই শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এ দিন ছেলে ঢাক বাজানোর চেষ্টা করেছে। সঙ্গে ছিলেন মাও। সেই মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দি করে অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন রাজ।
মাথা ভর্তি একরাশ কোঁকড়ানো চুল, মিষ্টি হাসি- এই হল ইউভান চক্রবর্তীর ইউএসপি। কমেন্ট বক্সে নেটিজেনরা যাকে এখন থেকেই বিয়ের ‘প্রপোজাল’ পাঠাতে শুরু করেছে খানিক রসিকতা করেই। কেতাদুরস্ত হাবভাব আর আদবকায়দায় সে যেন সত্যিই ‘রাজ-পুত্র’। এক বছর পূর্ণ করেছে সম্প্রতি।
পঞ্চমীর দিন শারদীয়ার শুভেচ্ছার পাশাপাশি দর্শককে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অনুরোধ, অন্যদের সিনেমা দেখার অনুরোধ করে রাজ-শুভশ্রী এক কথায় দৃষ্টান্ত তৈরি করেছেন বলে মনে করেন ইন্ডাস্ট্রির বড় অংশ। কারণ তাঁদের এই অনুরোধ বাংলা সিনেমার জন্য, টলিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য। তাই নিজেদের পুজো রিলিজ না থাকলেও ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থে তাঁদের এই বার্তা যথেষ্ট সদর্থক বলেই মনে করছেন সিনে বিশেষজ্ঞরা। ফেসবুকে রাজ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানে তিনি এবং শুভশ্রী বলেন, “শুরু বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব। খাওয়া দাওয়া, আড্ডা এবং সিনেমা। এ বছর পাঁচটা খুব ভাল ভাল গল্প নিয়ে আমাদের পছন্দের অভিনেতা, পরিচালকদের ছবি মুক্তি পেয়েছে। ‘গোলন্দাজ’, ‘বাজি’, ‘এফআইআর’, ‘বনি’ এবং ‘ষড়রিপু টু জতুগৃহ’।”
করোনা পরিস্থিতির কথাও আলাদা করে মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় আমরা করোনার সব বিধি নিষেধ পালন করব। মাস্ক পরব, স্যানিটাইজ করব। সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনটেন করব এবং সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখব।” পাশাপাশি শুভশ্রী বলেন, “এ বছর পুজোর সবথেকে বড় এক্সাইটিং পার্ট হল আবার আগের মতো সিনেমা রিলিজ হয়েছে এবং আমরা সবাই মিলে সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখব। হলে গিয়ে সিনেমা দেখুন। বাংলা সিনেমাকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। পুজোর আনন্দের সঙ্গে হলে গিয়ে সিনেমা দেখা যায়। সকলকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা।”
আরও পড়ুন, Samantha Prabhu: হিন্দিতে ডেবিউ করছেন সামান্থা? কবে শুরু হবে শুটিং?