বয়স তার একও পার হয়নি। ইতিমধ্যেই সেই একরত্তিকে নিয়ে নেটিজেন মহলে জোর চর্চা। সে অর্থাৎ ইউভান চক্রবর্তী। সম্পর্কে সেলেব জুটি রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের একমাত্র সন্তান। এখনই নাকি গাড়ি চালাতে পারে সে। অবাক হবেন না, এমন ‘দাবি’ তাঁর বাবা স্বয়ং রাজের।
আর ‘দাবি’ হবে নাই বা কেন? ইনস্টাগ্রামে মঙ্গলবার এক ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন রাজ। সেই ভিডিয়োতেই দেখা যাচ্ছে দু’হাতে স্টিয়ারিং ধরে রীতিমতো পেশাদারি ভঙ্গিমায় বাবার কোলে চেপেই গাড়ি চালানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউভান। কখনও সে হাসছে খিলখিলিয়ে। কখনও আবার এক হাতেই ঘুরিয়ে দিচ্ছে স্টিয়ারিংয়ের চাকা। গাড়ির রাশ বাবার হাতে হলেও, ছেলে কিছুতেই কম যায় না। ইচ্ছে যে তার ষোলোআনা, বলে দিচ্ছে সেই ভিডিয়ো। ছেলেন এই রূপ দেখেই ভিডিয়ো আপলোড করে রাজ লিখেছেন, “আমি আত্মবিশ্বাসী ইউভান গাড়ি চালানোর জন্য একেবারে তৈরি। শুধু অপেক্ষা করছে ওর লাইসেন্সের। একবার লাইসেন্স পেয়ে গেলেই সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যাবে ও।” কিন্তু তার যে ঢের দেরি। সবে এক বছর হল। এখনও অপেক্ষা আরও আঠারো বছরের।
তবে ছোট্ট ইউভানের এই প্রচেষ্টা চোখ এড়ায়নি নেটিজেন থেকে সেলেবদেরও। মা শুভশ্রী যেমন কমেন্ট বক্সে লিখেছেন, “আমার স্মার্টি। ” অন্যদিকে সাহেব ও ইমন পাঠিয়েছেন ভালবাসা।
তবে ইউভানের এই গাড়ি চালানোর ট্রেনিং চলছিল বেশ কিছু মাস ধরেই। ট্রেনিং দিচ্ছিলেন বাবা রাজ-ই। সোশ্যাল মিডিয়ায় জুন মাসে ইউভানের আরও এক স্টিয়ারিং ঘোরানোর ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘আমার ছোট্ট ছেলে দু চাকা থেকে চার চাকায় চলে গিয়েছে এখন। সাড়ে ন’মাস বয়সেই গাড়ি চালাতে শিখছে।’নিজের বাইকের উপর ইউভানকে বসিয়ে ছবি শেয়ার করেছিলেন রাজ। সেই বাইকের সঙ্গে রাজের প্রথম যৌবনের স্মৃতি জড়িয়ে। উত্তরাধিকারীকে সেই বাইকে বসিয়ে আনন্দ পেয়েছিলেন। গাড়ির ক্ষেত্রেও বাবা হিসেবে ইউভানকে স্টিয়ারিং ধরিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেব ব্যারাকপুরের বিধায়ক।
দিন কয়েক আগেই রাজের বৈঠিক হামলার অভিযোগ উঠেছিল ব্যারাকপুরে। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ শাসক শিবিরের। তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, গত রবিবার বিকেলে ব্যারাকপুর স্টেশন লাগোয়া ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের একটি ঘরে হনুমান মন্দির সংস্কার নিয়ে বৈঠক করছিলেন বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর পুরপ্রশাসক উত্তম দাস, জেলার সহ-সভাপতি জয়জিত্ দাস ও অন্য়ান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সেইসময়, আচমকা প্রায় ৩০ জন দুষ্কৃতী পেছন থেকে ঘরে ঢুকে সরাসরি বিধায়কের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।