সদ্য ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (IFFI) সূচনা হল গোয়াতে। স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে চলতি বছরে একেবারে অন্যরকম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। তাঁর নাচ মুগ্ধ করেছে দর্শককে। সলমন খান, রণবীর সিং, মৌনি রায়, রীতেশ দেশমুখ, জেনেলিয়া ডিসুজা সহ একঝাঁক বলিউড তারকা পারফর্ম করেন ওই অনুষ্ঠানে।
সলমন খানের সঙ্গে সরাসরি দেখা হওয়ায় আপ্লুত ঋতাভরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সলমনের সঙ্গে নিজের একটি ছবি শেয়ার করে নিজের ভাললাগার কথা অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি।
ঋতাভরী লিখেছেন, ‘রেড কার্পেটে সলমন খানের সঙ্গে দেখা হওয়া ওই সন্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, এ আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই সুপারস্টার সম্পর্কে আপনার ১০০টা কথা বলার থাকতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করুন ওঁর যে ভাবমূর্তি তা আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। অত্যন্ত ভদ্র মানুষ তিনি। ওঁর মনুষ্যত্ব, মিষ্টতায় আমি এবং আমার গোটা টিম মুগ্ধ।’
সলমন-রণবীরদের সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করা অবশ্যই ঋতাভরীর কাছে আনন্দের। সাদা-লাল লেহেঙ্গাতে নিজেকে সাজিয়েছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছেন ঋতাভরী। এই অনুষ্ঠানে বাংলার প্রতিনিধিত্ব করা তাঁর কাছে গর্বের। ঋতাভরী লিখেছিলেন, ‘আমার বাংলা সব সময় লাইমলাইটের কেন্দ্রে থাকার মতো। জাতীয় স্তরের একটি শোয়ে আমি সব বাংলা গানের সঙ্গে পারফর্ম করলাম। আমার মনে হয় এটা যথেষ্ট পাওয়ারফুল স্টেটমেন্ট।’ গোয়ায় আগামী ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে চলতি বছরের চলচ্চিত্র উৎসব। এই প্রথমবার নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম সহ বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মাস কয়েক আগে দুটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল ঋতাভরীর। অস্ত্রোপচারের পর চরম হতাশার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে, সে কথা মাস খানেক আগে এক পোস্টে নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি। পোস্টে লিখেছিলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে যাতে ফিগার ঠিক থাকে তাই কড়া ডায়েট-রুটিন অনুসরণ করতাম আমি। প্রতিদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি নিতাম দেখার জন্য, যে আমি ঠিক আছি কিনা। ৩৬-২৬-৩৬- শরীরের এই গঠন নিয়ে আমি পাগল ছিলাম। কিন্ত আট মাসে আগে সব নিয়ম গুলিয়ে গেল যখন এক অস্ত্রোপচার হয় আমার। সারাক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকতাম। নড়াচড়া করতে পারতাম না।’ যোগ করেছিলেন, ‘অপারেশন ঠিকঠাক হয় কিন্তু হতাশা ঘিরে ধরে। নিজেকে বলেছিলাম সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্ত আমার কাজ-পাগল মনের ধৈর্য ছিল না। সবাইকে বলতে চাই, আমি ভাল হচ্ছি। শারীরিক যন্ত্রণা আর নেই। কিন্তু হতাশা আমায় নিঃসঙ্গ করে দিয়েছে। পরে তোমাদের সব বলব…।’
ঋতাভরীর ওই পোস্টে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন মিমি-নুসরতও। তবে সেই অধ্যায় কাটিয়ে আবারও কাজে ফিরেছেন তিনি। তাঁর হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে হয়েছে কটাক্ষও। তবে তিনি পজেটিভ। সম্প্রতি আবিরের বিপরীতে এক বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দেখা গিয়েছে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও এক বিজ্ঞাপনী কাজে। সঙ্গে রয়েছে সমাজসেবা মূলক কাজ। এ সব নিয়েই নিজের শর্তে দিন কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী।