‘ঋতাভরী চক্রবর্তী বিয়ে!’—এমন শিরোনামে ছড়িয়েছে চারিদিকে। চলতি বছর শেশে এনগেজমেন্ট এবং আগামী বছর বিয়ে করছেন নাকি অভিনেত্রী। পাত্র ঋতাভরীর ডাক্তার-বন্ধু তথাগত চট্টোপাধ্যায়। তথাগত মনের ডাক্তার। বেশ বহু বছর ধরে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করছেন ঋতাভরী। নিয়েছেন বেশ কিছু উদ্যোগও। এটাই প্রেমিক-বন্ধুর সঙ্গে আলাপের যোগসূত্র। মিলিয়ন ফলোয়ার সংখ্যার অধিকারিনীর বিয়ের খবরে যে সোশ্যাল পাড়া সরগরম হবে না, তা কি হয়? তবে উত্তেজনার পারদ চড়তে না চড়তে দপ করে নিভে গেল! কেন?
সম্প্রতি একটি পোস্ট করেছেন ঋতাভরী। তিনি লেখেন—‘আমি এখন বিয়ে করছি না। আপনারা জানেন যে আমার সবেমাত্র দুটো সার্জারি হয়েছে এবং তার থেকে আমি ধীরে-ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। আমি আমার স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিচ্ছি এবং সব প্রোজেক্টে যেগুলোয় আমি সাইন করেছি। পুনশ্চ: এটা নিয়ে আর প্রতিবেদন করবেন না। আমি এ বিষয়ে আর কথা বলতে চাই না।’
ঋতাভরী ফোন তুলছেন না। সকাল থেকে মন-মেজাজ খারাপ বলেন মা শতরূপা সান্যাল। তিনি বলেন, “সকাল থেকে উঠেই আমি এসব খবর পেয়ে, বুঝতেই পারলাম না কী হচ্ছে। আমার বিয়ে আমিই জানতে পারলাম না। নাম-ধাম-দিনক্ষণ সবই তো বলে দিচ্ছে। ওরাই দায়িত্ব নিয়ে বিয়েটা দিয়ে দিক!”
ঋতাভরীর লেখা পোস্টে তাঁর পরিচিত লেখেন, ‘যাহ! ভেবেছিলাম একটু মাংস-ভাত খাব…ধুস কী যে করিস ঋতাভরী!!!’ উত্তরে ঋতাভরী লেখেন, ‘ঠিক সময়ে খাবে তারা কীসের’। ঠিক তার পরে ঋতাভরী কমেন্টে লেখেন,’এই কোভিডে বিয়ে করলে জুমে বসে সুইগি অর্ডার ছাড়া উপায় আছে? তারপর চতুর দিকে বিয়ের যা আয়ূ।’