Pradip Mukherjee Death: ওঁর কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি, সেই স্মৃতি নিয়ে থাকতে চাই, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
Rituparna Sengupta: যেখানেই গিয়েছেন প্রদীপদা চিরন্তন সুখে থাকেন, কষ্ট পাচ্ছিলেন। যিনি চলে যান, তিনি চলেই যান। যাঁরা রয়ে যায়, তাঁরা কষ্ট নিয়েই বেঁচে থাকে।
প্রদীপ মুখোপাধ্যায় প্রয়াত। তিনি শেষ কাজ করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের সঙ্গে দত্তা ছবিতে। তাঁর চলে যাওয়াটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অভিনেতা কষ্টও পাচ্ছিলেন খুব, স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
“প্রদীপদার চলে যাওয়াটা দুঃখের খুবই দুঃখের। প্রত্যেকেরই বয়স হয়, জানি একদিন চলে যাবেন। কিন্তু প্রদীপদার যে রকম জীবনীশক্তি, প্রদীপদা যেমন ভাল ভাল কাজ করে গিয়েছেন, এই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাঁর কাজের প্রতি যে স্পৃহা, মানে একেবারে একাগ্রতা এবং যে ডেডিকেশন, কমিনমেন্ট ভাবা যায় না। এই সময়কার মানুষদের মধ্যে বোধহয় এগুলো ইনবিল্ট। যে কোনও ক্রাইসিসকে সামলানো, এত অসুস্থ ছিলেন তাও কাজ করে গিয়েছেন। আমরা দুই সপ্তাহ আগে দত্তার শুটিং শেষ করলাম, নির্মলদার মানে নির্মল চক্রবর্তীর ছবিতে। এবং আমরা সমস্ত রকম চেষ্টা করেছি যাতে তাঁকে কমফোর্ট দেওয়া যায়, কারণ তিনি অসুস্থ ছিলেন, নিঃশ্বাসে কষ্ট হচ্ছিল, তার মধ্যেও তিনি নিজের কমিটমেন্ট রক্ষা করা, মানে এটা না দেখলে বোঝানো যাবে না, আমাদের প্রত্যেকের শেখা উচিৎ ওঁনার মতো মানুষের কাছ থেকে কীভাবে কমিটমেন্ট রক্ষা করতে হয়। আমার অনেক স্মৃতি আছে ওঁর সঙ্গে। পার্সেল, ছুটি, দত্তা- শেষ তিনটে ছবিতে কাজ করেছি ওঁর সঙ্গে। এবং ভীষণ ভাল কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছি, বসেছি, গল্প করেছি, গল্প শুনেছি। ওঁর গলার মধ্যে একটা ব্যঞ্জনা ছিল, কী অপুর্ব ছিল যে সবার থেকে আলাদা করে দিতে তাঁকে। একটা ইমোশনাল মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল কয়েকদিন আগে। ওঁর জন্মদিন পালন করেছি সেটে। খুব আনন্দ করলাম, কেক খাওয়ালাম, আমরা সবাই মিলে ওঁর সঙ্গে ছবি তুলেছি। আর উনিও এত আনন্দ পেয়েছিলেন যে সবাইকে বলেও ছিলেন এত আনন্দ এর আগে করেননি, যা এই ছবির শুটিং করতে গিয়ে করলেন।
যেখানেই গিয়েছেন প্রদীপদা চিরন্তন সুখে থাকেন, কষ্ট পাচ্ছিলেন। যিনি চলে যান, তিনি চলেই যান। যাঁরা রয়ে যায়, তাঁরা কষ্ট নিয়েই বেঁচে থাকে। প্রদীপদা কত ভাল ভাল কাজ করেছেন। আমার সঙ্গেই তো দহন, মন্দ মেয়ের উপাখ্যান, উৎসব পার্সেল আর শেষ দুটি ছবি ছুটি, দত্তা ছবিতে কাজ করেছি। আমার কিছু বলার নেই। আমি সেই স্মৃতিটুকু নিয়েই থাকতে চাই। যে ভাল স্মৃতি উনি আমাদের দিয়ে গিয়েছেন, যে ভালবাসা পেয়েছি ওঁনার কাছ থেকে তাই থাকবে। ওঁনার পরিবারের প্রতি আমার শ্রদ্ধা। উনি আমাদের মধ্যে সবসময় থাকবেন, ছিলেন, আছেন। এত বড় মাপের অভিনেতা, ওঁনার কাছ থেকে কত কিছু যে শেখার আছে তার কোনও সীমা নেই।