উইকিপিডিয়া বলছে বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই। তাতে কী? আবারও বিয়ে করার ইচ্ছে জেগেছে গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর। পাত্রীও ঠিক করাই আছে। এখন শুধু তাঁর ‘হ্যাঁ’ বলার অপেক্ষা। রাখঢাক না করে সামাজিক মাধ্যমে এমনটাই জানালেন গায়ক।
কিন্তু পাত্রী হিসেবে তাঁর পছন্দ কাকে? রূপঙ্করের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট বলছে এতদিনের সফরসঙ্গিনীকেই পাত্রী হিসেবে আবারও পেতে চাইছেন রূপঙ্কর। এত দিনের সফরসঙ্গিনী অর্থাৎ তাঁর স্ত্রী চৈতালি লাহিড়ী। বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীর সঙ্গে ভালবাসার ছবি শেয়ার করে এই ক্যাপশনই লিখেছেন রূপঙ্কর। চৈতালিকে প্রশ্ন করেছেন, “ডার্লিং আমি কি আবারও তোমাকে বিয়ে করতে পারি?”
রূপঙ্করের ওই পোস্টে কমেন্ট করেছেন ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরা। অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন লিখেছেন, “জমিয়ে থাকো যত্নে রাখো”। অন্যদিকে সুজয় প্রসাদও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দম্পতিকে। ১৯৯৯ সালে চৈতালির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। সেই বন্ধন আজও অটুট। ১৫ তম বিবাহবার্ষিকীতে দুজনেই দেহদান করেছিলেন। এ বছর কী করেন সেটাই দেখার।
সম্প্রতি নিজের জীবনের এক বিশেষ ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রূপঙ্কর। জানিয়েছিলেন ইণ্ডাস্ট্রির সিনিয়র এক প্রবীণা এই দুঃসময়ে কতটা আন্তরিকতায় তাঁর পরিবারের কুশল জানতে চেয়েছিলেন। সেই প্রবীণা হলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আপ্লুত রূপঙ্কর TV9 বাংলাকে বলেছিলেন, “সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রবল যোগাযোগ রয়েছে, তেমন তো নয়। মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হয়। খুব কম অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে। উনি স্নেহ করেন আমাকে। ফোনে জানতে চান কেমন আছি, কী করছি। আমার স্ত্রী, মেয়ের কথা জানতে চান। আমি অভিভূত হয়ে গিয়েছে। ওঁর কাছে তো আমরা সন্তানের মতো। ওঁর জুনিয়র। আমরা কতবার ওঁর খোঁজ নিতে পারি? উনি ঠিক নিজের সময় বের করে খবর নিচ্ছেন। যখন কথা বলছেন, তখন মনে হচ্ছে, নিকট আত্মীয়। মায়ের মতো, খবর নিচ্ছেন। কেমন আছ, খাওয়া দাওয়া করছ কি না। আর কোনও সিনিয়রের কাছ থেকে কখনও এই ব্যবহার পাইনি। আমরা সিনিয়র হওয়ার পর জুনিয়রদের খবর নেব কি না, জানি না। অথবা এখনই কি জুনিয়রদের বা পাশের সহকর্মীর খবর নিই?”
আরও পড়ুন-Kal Ho Naa Ho: ছোট্ট ‘শিব’ কে মনে আছে? করেছেন বিয়ে, অভিনয় ছেড়ে তিনি এখন…
করোনা আবহে বেহাল দশা বিনোদন জগতেরও। স্টেজ শো বন্ধ। সিনেমা হল বন্ধ থাকার ফলে ছবির গানেও আপাতত তালা। সে নিয়ে রূপঙ্কর বলেছিলেন, “স্টুডিওতে গিয়ে কাজ করাও ডিফিকাল্ট এখন। ফান্ডিংও ভয়ঙ্কর খারাপ অবস্থায়। সব ভ্যাকসিনেশন কমপ্লিট না হলে ঠিক হবে বলে মনে হয় না। কালচারাল ফিল্ড তো ফান্ডিংয়ের উপর নির্ভর করে। মানুষের মাথায় ছাদ থাকলে, খাবার থাকলে, পরনের কাপড় থাকলে তবে তো বই পড়বে বা সিনেমা দেখবে, গান শুনবে। এখন তো সেগুলোই চ্যালেঞ্জের জায়গায় চলে গিয়েছে।”