বাবার মৃত্যুর ১৪ বছর কেটে গিয়েছে, আজও বারেবারে তাঁরই স্মৃতিতে ফিরে যান ছেলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। এক বিন্দু সরিয়ে রাখতে পারেননি নিজের থেকে তাঁকে। আন্তর্জাতিক পিতৃ দিবসে তার প্রমাণও পেয়েছে নেটিজেন। শাশ্বত নিজে আজ বাবা হয়েছেন তাই তাঁর ফাদার্স ডে-র পোস্টে শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়কে যেমন জড়িয়ে রেখেছিলেন তেমনই মেয়ে হিয়াকেও। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমার কাছে বাপি সবসময়ই একজন অনুপ্রেরণা, একজন পথপ্রদর্শক, একজন বন্ধু ছিলেন। বাপির কাছ থেকে ভালবাসা, যত্ন এবং সহায়তা পাওয়া থেকে শুরু করে নিজে বাবা হওয়া পর্যন্ত। আমার যাত্রা ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। হ্যাপি ফাদার্স ডে বাপি … এবং আমার প্রিয় কন্যার ভাল বাবা হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিলাম।’
আজও সেই বাবা ফিরে এলেন শাশ্বতর স্মৃতিতে। শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের কৈশোর বয়সের এক ছবি পোস্ট করেন শাশ্বত। অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর কনসোলে বসে শুভেন্দু। মুখে এক চওড়া হাসি। সাদা –কালো ছবির ক্যাপশনে শাশ্বত লেখেন, ‘তুমি আছো অস্তিত্ব জুড়ে…বাপি’।
গত বছরে বাবা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’-র শুটিংয়ের এক ছবি পোস্ট করেছিলেন। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রবি ঘোষ ও সমিত ভঞ্জের মাঝে আড্ডা দিচ্ছেন শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। আজ তাঁদের কেউই বেঁচে নেই। কিন্তু শাশ্বত নিশ্চিত ছিলেন কোথাও হয়তো সেদিনও হয়তো এভাবেই তাঁরা আড্ডা দিচ্ছেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘নিশ্চয়ই জমিয়ে আড্ডা হচ্ছে আজকে জন্মদিনে…’। শুভেন্দুবাবুর আরেকটি সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘‘আমার আজও মনে পড়ে… বাপির যখনই মন খারাপ হত, বাপি তখন ‘অটোবায়োগ্রাফি অব চার্লি চ্যাপলিন’ পড়তেন… কারণ তাঁর জীবনী থেকে অনেক ইনস্পিরেশন পেতেন।’