Saswata On Movies Flop: শাশ্বত অভিনীত পর পর দুটো হিন্দি সিনেমা ফ্লপ, অভিনেতা নন, দর্শকরূপে কারণ হিসেবে কী মনে হয়?
Saswata On Movies Flop: কঙ্গনা এবং তাপসী-দুই নায়িকার ছবিতেই অভিনয় করেন টালিগঞ্জের শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। কঙ্গনার ছবি ‘ধাকড়’-এ তো তাঁর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল।
মহুয়া দত্ত
হিন্দি-বাংলা সিনেমা পর পর ফ্লপ। আমির খান, অক্ষয় কুমার-কেউ-ই বক্স অফিসে ব্যবসা দিতে সক্ষম হচ্ছেন না। মাঝে বলিউডে নারী কেন্দ্রিক ছবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। মানে বলিউড ‘হিরোইজম’ ছবি ভুলে অন্য রকম ছবি করছে বলেও প্রশ্ন তুলেছিলেন এক সময় সঞ্জয় দত্ত। সেই সঞ্জয় দত্ত এবং রণবীর কাপুর মিলে ‘শামশেরা’ করেও ছবি সফল হয়নি। অন্যদিকে নারী কেন্দ্রিক ছবি যে অভিনেত্রীরা করেন, তার মধ্যে কঙ্গনা রানাওয়াত, তাপসী পান্নু অন্যতম। ‘ধাকড়’ ছবি নিয়ে ছিল প্রচুর আশা। হলিউড স্টাইলে করা হয়েছিল মেকিং। কঙ্গনাকেও পাওয়া গিয়েছিল একেবারে অন্যরকম ভাবে। ছবি মুক্তির আগে কঙ্গনা ছবি ছাড়াও বলিউডে নেপোটিজম নিয়ে নানা কথা বলেন। বিশেষ করে আলিয়া ভাটের ‘গাঙ্গুবাঈ কাথিয়াওয়ারি’ নিয়ে। কিন্তু তারপর ছবি মুক্তি পেতেই মুখ থুবড়ে পড়ে সেই ছবি।
তাপসী পান্নুও নিত্য নতুন পরীক্ষামুলক ছবি করতে পছন্দ করেন। তাঁর নতুন ছবি ‘দোবারা’ সদ্য মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দিনের বক্স অফিস কালেকশন ছিল খুব কম। উইকেন্ড রিপোর্টও আহামরি নয়। এই ছবি মুক্তির আগে পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ এবং তাপসী দুইজনেরই দাবি ছিল অন্যরকম কাহিনি নিয়ে তাঁরা আসছেন। কিন্তু মুক্তির পর বলিউডের সিনেমা ব্যবসায় কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি ছবি।
কঙ্গনা এবং তাপসী-দুই নায়িকার ছবিতেই অভিনয় করেন টালিগঞ্জের শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। কঙ্গনার ছবি ‘ধাকড়’-এ তো তাঁর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল। তিনি ছবি মুক্তির আগে যথেষ্ট আশাবাদীও ছিলেন ছবি বক্স অফিস ভাল ফল করবে বলে। তবে চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক থেকেই যায়। এখানেও তাই হয়েছে। এবার তাপসীর ছবি ‘দোবারা’-রও ফল মন্দ।
অভিনেতা নন, একজন দর্শক হিসেবে কী মনে হয় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের, কেন ছবি দুটো সাফল্যের মুখ দেখল না? TV9 বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে, প্রথমত, দুটো ছবির কোনওটাই সিনেমা হলে দেখা হয়নি শাশ্বতর, জানালেন সেই কথা। কাজের চাপে এই শহর ওই শহর করতে গিয়ে মিস করেছেন ‘ধাকড়’। ‘দোবারা’-র স্পেশ্যাল স্ক্রিনিং কলকাতায় হবে সেটা তিনি জানেন অনুরাগ শহরে আসার পর। তার আগে কেউ তাঁকে এই খবর দেননি। একটু বিরক্ত শবর দাশগুপ্ত। তবে তাই বলে ‘দোবারা’ দেখবেন না তা নয়, সময় পেলেই দেখবেন, আর তাই ফ্লপ মানতেও নারাজ এত তাড়াতাড়ি।
আর ছবি ফ্লপ নিয়ে দর্শক হিসেবে তাঁর মনে হয়, “আমার অভিনীত দুটো ছবি কেন, কোনও ছবিই তো চলছে না। না হিন্দিতে না বাংলাতে। রাজের ‘ধর্মযুদ্ধ’ও তো চলছে না সেভাবে। আমার মনে হয় যতক্ষণ না সিঙ্গল স্ক্রিন বাড়ানো হবে, ততক্ষণ কোনও ছবিই চলবে না। মাল্টিপ্লেক্স কখনওই সিনেমা শিল্পকে বাঁচাতে পারবে না। কয়েকদিন পর আলু, পেঁয়াজ, পপকর্ন, কোল্ডড্রিঙ্কংস বিক্রি হবে।”
কিন্তু দক্ষিণের ছবি তো বেশি টাকার টিকিট দিয়ে দর্শক মাল্টিপ্লেক্সে গিয়েই দেখছেন? এর উত্তরে উল্টো প্রশ্ন অভিনেতার-‘কটা হিট হয়েছে?’ এর পর তিনি আরও যোগ করলেন, “কোভিড পরিস্থিতিতে সকলের অবস্থা খারাপ। অত টাকার টিকিট কেটে রোজ রোজ সিনেমা দেখতে যাওয়ার ক্ষমতা নেই। থাকলেও খরচা করতে ভয় পাচ্ছেন মানুষ। তাই আবারও বলছি সিঙ্গল স্ক্রিন আর টিকিটের দাম না কমালে সিনেমা বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করবে আশা রাখা যাবে না”।