নিজেকে বিশ্বাস করি: লিখলেন নুসরত, শ্রাবন্তীর ‘বিশেষ’ মন্তব্যে নতুন বন্ধুত্বের ইঙ্গিত?
নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন নুসরত। কানে ভারি ঝুমকো। চোখে কাজল নেই, খোলা চুলে তিনি স্নিগ্ধ। ক্যাপশনটিও বেশ নজরকাড়া। নুসরত লিখেছেন, "নিজেকে বিশ্বাস করি"। সঙ্গে আবার ভালবাসার ইমোজি। ওই ছবিরই কমেন্ট বক্সে শ্রাবন্তীর মন্তব্য, " ন্যাচেরাল বিউটি'।
টলিপাড়ায় একদা ‘বোনুয়া’দের বন্ধুত্বে যে চিড় ধরেছে সে খবর বিগত বেশ কিছু মাস ধরেই ঘুরছে আনাচে কানাচে। দুই ‘বোনুয়া’ যদিও প্রকাশ্যে এ নিয়ে মুখ খোলেননি কখনও। ওঁরা দুইজন নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তী। একে অপরকে ওই নামেই ডেকে থাকেন তাঁরা। সূত্রের খবর ইদানিং নুসরতের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় এবং তনুশ্রী চক্রবর্তীদের সঙ্গে। মাঝে মধ্যেই হাউজ পার্টি, একসঙ্গে সময় কাটানো…চলতে থাকে তাঁদের। নুসরতের সাম্প্রতিক পোস্টে যেন তাঁরই আভাস মিলল…
নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন নুসরত। কানে ভারি ঝুমকো। চোখে কাজল নেই, খোলা চুলে তিনি স্নিগ্ধ। ক্যাপশনটিও বেশ নজরকাড়া। নুসরত লিখেছেন, “নিজেকে বিশ্বাস করি”। সঙ্গে আবার ভালবাসার ইমোজি। ওই ছবিরই কমেন্ট বক্সে শ্রাবন্তীর মন্তব্য, ” ন্যাচেরাল বিউটি’। নুসরতকে উদ্দেশ্যে করেই যে এই বক্তব্য, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অন্যদিকে শুভশ্রীও পাঠিয়েছেন ভালবাসা। করেছেন লাভ রিয়াক্ট।
View this post on Instagram
দিন কয়েক আগে অন্তঃসত্ত্বা নুসরতের যে ছবি ভাইরাল হয়েছিল তাতে দেখা গিয়েছিল শ্রাবন্তীকেও। ছিলেন তনুশ্রীও। ইন্ডাস্ট্রির অন্দর বলছে, নুসরতের জীবনে তাঁরাই নাকি নতুন ‘বোনুয়া’। নুসরত চুপ, চুপ তাঁর অন্তঃসত্ত্বার খবরেও। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যত জটিল হয়েছে ইনস্টায় একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত। কখনও তিনি স্পিরিচুয়াল গুরু গৌর গোপাল দাসের অনুপ্রেরণামূলক ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলছেন, ‘মনের ভিতরে কারও প্রতি নেতিবাচক চিন্তা থেকে থাকলে সেগুলো মুক্ত করে দাও। কারণ এটা নয় যে তাঁরা এটার যোগ্য, কারণ হল তোমার শান্তি প্রয়োজন’। আবার কখনও বা ক্যাপশনে লিখছেন, “,নিজেকে ভাল রাখার শক্তি তোমার কাছেই রয়েছে”।
আরও পড়ুনঃ জীবনে ‘নতুন প্রেম’, ভিডিয়োতে ভালবাসায় ‘ধোকা’ খাওয়ার কথা শ্রাবন্তীর!
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।