দিন কয়েক আগে অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর পোস্টে ছিল নীল আকাশ আর দূরের সবুজ পাহাড়। একা ঘাস বিছনো মাঠে বসে রয়েছেন তিনি। চোখে সানগ্লাস। তবে এ ছবি সাম্প্রতিককালের না কি থ্রো-ব্যাক তা অবশ্য জানা যায়নি। ক্যাপশনে শ্রাবন্তী লিখেছিলেন, ‘প্রকৃতির সৌন্দর্য্য হৃদয় দিয়েই অনুভব করতে হয়।’ কার উদ্দেশে এই বার্তা ছিল তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি।
সে ছবি পোস্টের কয়েরকদিন বাদে যে তিনি প্রকৃতির সৌন্দর্য্য শুধু নন। প্রকৃতির কল্যাণময়ীর রূপ ধারণ করবেন তা কি তাঁর ভক্তকূল জানত। দেবী দূর্গার আরেক রূপ কালী অবতারে ধরা দিলেন শ্রাবন্তী। তাঁর পোস্ট করা ছবিতে তাঁর গলায় জবার মালা। হাতে খড়্গ, অসুরের ছিন্ন মুণ্ড, বর ও অভয়মুদ্রা রয়েছে। লাল শাড়িতে একেবারে মানানসই শ্রাবন্তী।
ছবির ক্যাপশনে তিনি চিত্রগ্রাহককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শুধুমাত্র। তবে পোস্টটিকে পাবলিক করেনননি শ্রাবন্তী। শ্রাবন্তীর লুক যে বহু মানুষকে যে অবাক করেছেন তা ছবির কমেন্ট প্রমাণ।
অন্যদিকে, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আবারও সংসার করার ইচ্ছে প্রকাশ করে গত মাসে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রোশন সিং। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানির প্রথম দিন। রোশন তাঁর আইনজীবীসহ শিয়ালদহ ফাস্টট্র্যাক আদালতে হাজির থাকলেও উপস্থিত হননি শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। তবে হাজির ছিলেন শ্রাবন্তীর আইনজীবী। শ্রাবন্তীর আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, গত ১৮ জুন অভিনেত্রীকে যে সমন পাঠানো হয়েছিল, তা অসম্পূর্ণ।
এ ব্যাপারে বুধবার দরখাস্তও করা হয় শ্রাবন্তীর আইনজীবীর তরফে। পাশাপাশি লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য অভিনেত্রীর হয়ে আদালতের কাছে সময়ও চাইলেন তাঁর আইনজীবী। টিভিনাইন বাংলার তরফে রোশনের আইনজীবী শ্যামল মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আজ শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তাঁর হয়ে আদালতে আসেন। সময় চেয়ে নেন লিখিত বিবৃতি দেওয়ার জন্য। আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী ২১ অগস্ট।”