এই জজমেন্টাল সোসাইটিতে বিয়ে না করে মা হওয়ার জন্য ধক লাগে: শ্রীলেখা মিত্র
Sreelekha Mitra: শ্রীলেখা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, "আমি নুসরতকে রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা করেছি বহুবার। কিন্তু ওর মা হওয়ার সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানাই।"
শ্রীলেখা মিত্র। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে গৃহীত।
Follow Us
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণই ভোকাল শ্রীলেখা মিত্র। যে কোনও ঘটনায় তিনি রিয়্যাক্ট করেন। দিনে বহু পোস্ট দিয়ে থাকেন। সেরকমই নুসরত জাহানকে নিয়েও একাধিকবার পোস্ট দিয়েছেন শ্রীলেখা। কিন্তু বৃহস্পতিবার নুসরতের মা হওয়ার খবরে তিনি বেজায় খুশি হয়েছেন। সেই আনন্দ শ্রীলেখা ব্যক্ত করেছেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। অভিনন্দন জানিয়েছেন নুসরত ও তাঁর সদ্যজাত পুত্রকে।
শ্রীলেখা তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “আমি নুসরতকে রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা করেছি বহুবার। কিন্তু ওর মা হওয়ার সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানাই। এই জজমেন্টাল সোসাইটিতে বিয়ে না করে মা হওয়ার জন্য ধক লাগে। অভিনন্দন জানাতে চাই মা ও তাঁর পুত্রকে।”
সম্প্রতি জুরিকে বেড়াতে গিয়েছেন শ্রীলেখা। সেখান থেকে ছবিও পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। মাঝে অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনাও ঘটে গিয়েছে। যার রেশ এখনও কাটেনি বললেই চলে। কিছুদিন আগে শশাঙ্ক নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কফি ডেটে গিয়েছিলেন শ্রীলেখা। তাঁর শর্ত ছিল, একটি পথ কুুকুরকে দত্তক নিলে তবেই তিনি সেই ব্যক্তির সঙ্গে ডেটে যাবেন।
শশাঙ্ক কুকুর দত্তক নেন ও শ্রীলেখাও ডেটে যান। কিন্তু এর পরে যা ঘটে তাতে জল অনেকদূর গড়িয়েছে। কুকুরটি মারা গিয়েছে। পশুপ্রেমী যিনি দত্তক দিয়েছিলেন, তিনি লাইভে এসে শশাঙ্ককে শাসিয়ে গিয়েছেন। বলেছেন, ছাড়বেন না তাঁকে। শ্রীলেখাও দুঃখে মর্মাহত হয়ে নিজেকে জুরিকের হোটেলে বন্ধ করে রেখেছিলেন একটা গোটা দিন। এর পর শশাঙ্ককে বাড়িতে গিয়ে আটক করে পশুপ্রেমীরা। তাতে ঘর থেকে বাইরে টেনে আনেন রাস্তায়। গালে চড় মারেন, ওঠবোস করতে বলেন। এই ঘটনায় শ্রীলেখা বলেছেন, কুকুরটির মৃত্যুর জন্য তিনি নিজেকেই দায়ী করছেন। তার খোঁজ খবর নেওয়া উচিত ছিল। দেবশ্রী রায় বলেছেন, কফি ডেটের গিফ্ট কখনওই একটি কুকুর ছানা হতে পারে না। এটা কোনও পদ্ধতি নয়। কুকুরটি মারা গিয়েছে, এটা যেমন দুঃখজনক ঘটনা, তেমনই সেই ব্যক্তিকেও মারধর করা – সেটাও কি ঠিক কাজ? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এসবের মধ্যে শুক্রবার জুরিক থেকেই শ্রীলেখা নুসরতকে উইশ করেন।