দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর সাজানো অ্যাপার্টমেন্ট। থাকেন সুন্দর একটি আবাসনে। সেই আবাসন বিক্রি করার কথা ভেবেছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। একবার নয়। বারবার তাঁর আবাসনে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন শ্রীলেখা। কারণ পথ কুকুরদের প্রতি তাঁর প্রকাশ্য মমতা। শুক্রবারও একই ঘটনার মুখোমুখি হন। ফলে বিপর্যস্ত হয়ে একপ্রকার বাড়ি বিক্রির কথাও চিন্তা করে ফেলেন অভিনেত্রী।
শুক্রবার সকালের দিকে দুটি লাইভ করেন শ্রীলেখা। একটি ঘটনার লাইভ। অন্য লাইভে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। প্রথম লাইভে দেখা যায়, আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারা এসে পথ-কুকুরদের প্রতিপালন নিয়ে তীব্রভাবে কটাক্ষ করছেন শ্রীলেখাকে। তাঁর সঙ্গে বচসা চলাচ্ছেন। শ্রীলেখাও বিরোধিতা করছেন। পরের লাইভে কান্নায় একেবারে ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি সাফ জানিয়েছেন, “অনেক কষ্ট করে অ্যাপার্টমেন্টটি কিনেছি। আমার রক্ত জল করা পয়সায় কেনা। কিন্তু যা হচ্ছে আমি এখানে থাকতে পারছি না। ওরা আমার হাত ধরেছে, আমাকে পাগল বলেছে, বলেছে আমার বাড়ির বাইরে নোংরা-আবর্জনা ফেলে দেবে, কুকুরকে বিষ খাইয়ে মারবে… এত নেতিবাচকতার মধ্যে আমি হেরে গিয়েছি। আমি এই বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও থাকব। যাঁরা কুকুর ভালবাসেন না, আমার থেকে এই অ্যাপার্টমেন্ট কিনে নিন। আমি আর এখানে থাকব না।”
কিন্তু এত সহজে তো হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী শ্রীলেখা নন। অনেক রাতে তিনি আরও একটি পোস্ট করেছেন, বলেছেন, “পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ‘সিঙ্গল নারী’ হওয়াটাই একটা ভুল কাজ। আমার জীবনে কোনও পুরুষ থাকলে আমাকে অসম্মান করার আগে দশবার চিন্তা করত শঙ্খমণির এই গুন্ডারা (যে মহিলা আমার হাত ধরেছিল, সে অফ ক্যামেরা চলে যায়। আমি তখন রেকর্ড করছিলাম।)”। আজ আমার সঙ্গে যা হয়েছে, অন্য কোনও কেয়ার গিভারের সঙ্গে হওয়া উচিত নয়। হ্যাঁ, আমি আমার দুর্বলতা সকলের সামনে তুলে ধরেছি। তাতে আমি একটুকুও লজ্জিত নই। আমি একজন শিল্পী। নিজেকে সেলেব্রিটি বলতে আমি ঘৃণা বোধ করি। আমি একজন স্পর্শকাতর মানুষ। অনেকে আমাকে পাগল মনে করে। তাই আমি দুর্বল। গুন্ডাদের থেকে কুকুরদের বেশি পছন্দ করি আমি। এত সহজে আমি হাল ছাড়ব না। আমি এদের চিনি। এরা আমার প্রত্যেকটা পোস্ট ফলো করে। কমেন্টও করে। তাই এই পোস্ট তাদের উদ্দেশে করলাম। যারা মনে করে টাকা থাকলে সব কেনা যায় আর মনে করে মানুষেরই এই পৃথিবীতে বাঁচার অধিকার আছে।”