Srijit Mukherji and Rafiath Rashid Mithila: মিথিলা-সৃজিতের ‘হ্যাপি সেকেন্ড ইনিংস’
Srijit Mukherji and Rafiath Rashid Mithila: গত বছরও আজকের দিনে সৃজিতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মিথিলা। সেই মেমরি শেয়ার করেছেন তিনি।
অ্যাডভেঞ্চার। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দাম্পত্যকে এমন নামই দিতে চান রফিয়াদ রশিদ মিথিলা। আজ ৬ ডিসেম্বর তাঁদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী। সোশ্যাল মিডিয়ায় সৃজিতকে বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। অগণিত অনুরাগী শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দম্পতিকে।
গত বছরও আজকের দিনে সৃজিতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মিথিলা। সেই মেমরি শেয়ার করেছেন তিনি। মিথিলা লিখেছেন, ‘অ্যান্ড দ্য অ্যাডভেঞ্চার কনটিনিউস… হ্যাপি সেকেন্ড ইনিংস মিস্টার মুখার্জী। মে উই মেক আ উইনিং টিম।’
সৃজিতের আগে বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী তাহসানের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কে ছিলেন মিথিলা। তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তান আয়রা কখনও সৃজিত-মিথিলা, কখনও বা তাহসানের সঙ্গে সময় কাটায়। বেশিরভাগ সময়ই আয়রা মায়ের সঙ্গে থাকে। দিন কয়েক আগে একত্রে একটি পেশাদার কাজ করায় ট্রোলিংয়ের মুখে পড়েছিলেন তাহসান-মিথিলা। মিথিলা সে সময় জানান, প্রাপ্তবয়স্ক দুজন মানুষ একসঙ্গে কাজ করতেই পারেন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে মানে কখনও একসঙ্গে কাজ করা যাবে না, তা নয়। পাশাপাশি তিনি এবং তাহসান আয়রার বাবা, মা। তাই মেয়ের কথা ভেবেও তাঁরা নিজেদের সম্পর্ক তিক্ত করতে চান না। বরং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখলে তবেই আয়রাকে সুস্থ শৈশব দেওয়া যাবে বলে মনে করেন মিথিলা।
বাংলাদেশে থাকলে আয়রা কখনও মায়ের কাছে, কখনও বা বাবার কাছে থাকে। এ নিয়ে তাঁদের পরিবারে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে ট্রোলিংয়ের শিকার যাতে না হতে হয়, তার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এখন আর সকলের কমেন্ট করার অধিকার নেই। বাবা, মেয়ের আনন্দের মুহূর্তে মাও ভাগীদার হবেন, হোক তা ভার্চুয়াল, এটাই তো স্বাভাবিক। আয়রা মূলত মিথিলার কাছেই থাকে। বাংলাদেশে মিথিলা গেলে আয়রা সঙ্গী হয়। আবার মিথিলা কলকাতায় থাকলে মেয়ে তার সঙ্গেই থাকে।
আপাতত আয়রা কলকাতার একটি স্কুলের ছাত্রী। পড়াশোনার স্বার্থে ভবিষ্যতে সে কোথায় থাকবে, সেটাই এখন দেখার। মিথিলা সদ্য ভারতে তাঁর প্রথম ছবির কাজ শেষ করলেন। রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘মায়া’ ছবিতে দেখা যাবে মিথিলার অভিনয়। রাজর্ষির এই ছবির বিষয় শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ। বাংলাদেশে মিথিলার অভিনয় দেখেছেন দর্শক। কিন্তু এ পার বাংলায় এই প্রথম। ফলে মিথিলার জন্যও এই প্রজেক্ট নিঃসন্দেহে খুব স্পেশ্যাল।
আরও পড়ুন, Arshad Warsi: বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ২৫ বছর কাটিয়ে দেওয়ার পরও কাজ খুঁজতে হয় আরশাদকে!